রিফাত হত্যা : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামির হাইকোর্টে আপিল

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২০

রিফাত হত্যা : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামির হাইকোর্টে আপিল

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজীর করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত।

আপিল আবেদনের শুনানিতে রোববার (২২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর ও ১৩ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডেও দণ্ডিত করেন। বাকি চারজনকে খালাস দেয়া হয়। পরে নিয়মানুসারে ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ছয় অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। তবে কোনো কোনো মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পেয়েছেন- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন