সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আজ কুয়াকাটার নীল জলে পূন্যস্নান

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আজ কুয়াকাটার নীল জলে পূন্যস্নান

জাগতিক পাপ মুছে যাবে। এই মনোষকামনায় পূর্নিমাতিথীতে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ কুয়াকাটায় সমুদ্রে পূন্যস্নান করবেন। করোনা ভাইরাসের কারনে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকলেও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বঙ্গোপসাগরের নীল জলে পূন্যস্নান করবেন পূন্যার্থীরা। পঞ্জিকা মতে রবিবার দুপুর ১ টা ৫৪ মিনিটে পূর্নিমাতিথী শুরু হয়েছে। তা থাকবে আজ সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত। এ তিথিতেই পূন্যার্থীদের গঙ্গা¯œানের সময় নির্ধারন করা হয়। পূন্যের আশায় এ বছরও সৈকতে সমাগম হয়েছে দূর দূরান্ত থেকে পূন্যার্থী, দর্শনার্থী ও সাধু সন্ন্যাসী। এদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শনিবার রাতে শ্রী শ্রী মদন-মোহন সেবাশ্রমে অধিবাসের মধ্য দিয়ে পাঁচদিন ব্যাপী শুরু হয়েছে শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব। মন্দির প্রাঙ্গনে স্থাপন ১৭ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা। এসময় ভাগবত পাঠ, আরতি, উলু ও শঙ্খধ্বনি এবং নাম কীর্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ। কুয়াকাটায় গঙ্গা ¯œান শেষে পূর্ন্যার্থীরা রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবে। তবে এ বছর করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ রাস উদ্যাপন করা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে মন্দির ও সৈকত এলাকায় ভাসমান টয়লেট, পরিধেয় বস্ত্র পরিবর্তন সেড, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব, মেডিকেল টিম সহ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। এছাড়া পুরো কুয়াকাটাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মুলত হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হলেও এতে অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। কুয়াকাটার সৈকত পরিনত হয় সার্বজনীন উৎসবে। রূপ নেয় সাস্প্রদায়িক সস্প্রীতির উৎসবে এমটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কলাপাড়া মদন-মোহন সেবাশ্রমের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নাথুরম ভৌমিক জানান, শনিবার রাতে শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসবের অধিবাস সম্পন্ন হয়েছে। এ উৎসব চলবে পাঁচদিন ব্যাপী। করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর পালন করা হবে রাস উৎসব। ইতোমধ্যেই সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মহিপুর থানা ওসি মো.মনিরুজ্জামান জানান, গঙ্গা ¯œান উপলক্ষ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে সি-সি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থাকছে সাদা পোষাকে পুলিশের টহল। তবে নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস বাস্তবায়নে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কুয়াকাটায় পূন্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় একটি নিরাপত্তা বেষ্ঠনী তৈরী করা হয়েছে। আশা করি কোন ধরনের সমস্যা হবেনা বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন