বরিশালের বন্দর থানার সাহেবেরহাট এলাকায় ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ! ধর্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২০

 

 

পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি্।।  সিলেট নোয়াখালীর পর এবার বরিশালে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশ যখন ধর্ষনের বিচারে উত্তাল ঠিক সেই মুহুর্তে বরিশাল বন্দর থানার আওতাধীন সাহেবেরহাট এলাকার চরপত্তনিয়া গ্রামের অটো চালক জামাল রাড়ীর মাদ্রাসা পড়ুয়া (৮ম)শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছদ্ধনাম পিংকি আক্তার ধর্ষনের শিকার হয়। ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষিতার বাড়ি থেকে বন্দর থানা এস আই সামসুল হক ও এ এস আই সুমন খুলনা রুপসা ব্রীজ বৌ-বাজার এলাকার মৃত মোতালেব হাং’র পুত্র জিবন হাংকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল ৬ই অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ধর্ষিতা সাহেবেরহাট মাদ্রাসা ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চরপত্তনিয়া গ্রামের জামালের ঘরে খুলনার রুপসা ব্রীজ এলাকার জিবন নামের এক যুবককে দেখে স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে যুবককে দেখে পরিচয় জানতে চায় তখন সে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এরাতে চাইলে ধর্ষিতা সাংবাদিকদের কাছে সে ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে জানায়। সাংবাদিকরা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এস আই সামছুল হক ও এ এস আই সুমন গিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।সাখে ধর্ষিতাকেও নিয়ে আসে। একাধীক স্থানীয় সুত্র জানান পিংকি ধর্ষনের সহায়তায় তার মাদকাসক্ত অটো চালক পিতা জামাল রাড়ী। জামাল রাড়ী অর্থের লোভে তার মেয়েকে জোরপূর্বক লম্পট যুবক জিবনের কাছে তুলে দেয় তার নিজ ঘরে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ধর্ষক ও এর সহায়তা কারির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,   ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষিতার মা মোসাঃ নেহা বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন। মামলার কাজ প্রকৃয়াধীন। তবে এতে ধর্ষিতার বাবা সহায়তা করেছে বলে এমন খবর তার জানা নেই।জিজ্ঞাসাবাদে এমন কিছু পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ