ঢাকা ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২১
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শ্রমিক হলেন কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের মজনু মিয়া (২৬) ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌড়িপুর গ্রামের মো. আসাদুল (৩০)। ওই দুই শ্রমিককে বাঁচাতে গিয়ে মো. শুভ (২৫) নামের এক তরুণ আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিষকান্দি গ্রামে প্রবাসী মিরাজ খানের বাড়িতে দুই মাস আগে শৌচাগারের জন্য একটি নতুন সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। আজ সকালে সেই সেপটিক ট্যাংকের মুখ খুলে পরিষ্কার করার জন্য ওই দুই শ্রমিককে নিয়োগ করা হয়। সেপটিক ট্যাংকের মুখ খুলে প্রথমেই আসাদুল নিচে নামেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর সাড়া না পেয়ে ভেতরে যান মজনু মিয়া। আধা ঘণ্টা পর দুই শ্রমিকের সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দা মো. শুভ ট্যাংকের নিচে নেমে দড়ি দিয়ে বেঁধে দুই শ্রমিককে ওপরে তোলেন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের দুজনকে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। দুই শ্রমিককে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন শুভ। তাঁকে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মিরাজ খানের ভাই পলাশ খান বলেন, সেপটিক ট্যাংকের মুখের ঢাকনা ছিল ছোট। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকায় এর ভেতরে গ্যাস তৈরি হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হতে পারে। দুই শ্রমিকের পরিবারকে সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করা হবে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আলী আজিম বলেন, দুই শ্রমিককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন সেপটিক ট্যাংকের মুখের ঢাকনা বন্ধ থাকায় মিথাইন গ্যাসের ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত কার্বনে অক্সিজেন শূন্য হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হতে পারে।
কাঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় দুপুরে বলেন, দুই শ্রমিকের লাশ বর্তমানে ভান্ডারিয়া থানা-পুলিশের হেফাজতে আছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network