আসামির শরীরজুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন, জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

আসামির শরীরজুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন, জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ

বরগুনায় মাদক মামলায় অভিযুক্ত এক আসামির শরীরজুড়ে নির্যাতনের চিহ্নের পাশাপাশি হাত ভাঙার রহস্য উদঘাটনের জন্য জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বপ্রণোদিত হয়ে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ভোররাতে বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বিনয় চন্দ্র সরকারের ছেলে শিশির চন্দ্র সরকার (২৪) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর শিশিরের কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে ওইদিন সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত শিশিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশিরকে আদালতে হাজির করার আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় শিশিরের শরীরজুড়ে অমানুষিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান তার স্বজনরা। নির্যাতনের ফলে শিশিরের ডান হাত ভেঙে গেছে বলেও অভিযোগ স্বজনদের।

এরপর গতকাল বৃহস্প‌তিবার শিশিরের জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করার পাশাপাশি তার শরীরজুড়ে আঘাতের রহস্য উদঘাটনে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে শিশিরের বড় ভাই তুষার বলেন, ২০ সে‌প্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাসার সামনে থেকে শিশিরকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু মামলায় প‌রের দিন ২১ সে‌প্টেম্বর ভোর ৫টায় শিশিরকে আটকের সময় দেখানো হয়েছে। শিশিরকে আটকের পর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালায় পুলিশ।

পুলিশের নির্যাতনে শিশিরের ডান হাত ভেঙে গেছে। এছাড়াও সমস্ত শরীরে কালো দাগ বসে গেছে। নির্যাতনের পর ঠিকমতো চিকিৎসাও দেয়নি পুলিশ। শিশিরের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য ছিল না দাবি করে তুষার বলেন, ওর কাছে মাদক ছিল না বলেই ওকে মারধর করা হয়েছে। এরপর ৫ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।

এ বিষয়ে শিশিরের আইনজীবী আবদুল ওয়াসিম মতিন বলেন, গতকাল শিশিরের জামিনের জন্য আমি বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করি। জামিন আবেদনের সঙ্গে শিশিরের শরীরজুড়ে অমানুষিক নির্যাতনের চিহ্নের কিছু তথ্য-উপাত্ত আদালতে পেশ করি। এরপর আদালত শিশিরের জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি ওর শরীরজুড়ে নির্যাতনের চিহ্নের রহস্য উদ্‌ঘাটনে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন।

তবে বরগুনা সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমারা এখনো আদালতের তদন্তের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র পাইনি। আসামির আঘাতের বিষয়ে তিনি জানান, রাতে আটকের সময় পালানোর চেষ্টা করে আসামি শিশির। সে সময়ই আঘাত পায় সে। সুত্র পায়রা বার্তা

সংবাদটি শেয়ার করুন