বৃদ্ধা মাকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একমাত্র ছেলে!

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২১

বৃদ্ধা মাকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একমাত্র ছেলে!

বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম জানায়, তার স্বামী মোবারক আলী খান এক ছেলে ও ৫ মেয়ে ছোট রেখে ৪০বছর আগে মৃত্যু বরণ করেন। তারপর থেকে স্বামীর ঘরে সন্তানদের নিয়ে বড় কষ্টে দিন কাটে তার। একটা সময় মেয়েদের বিয়ে দেয়। ৩য় মেয়ে হোসনেয়ারা ও ৪র্থ মেয়ে ইয়ারুন নেসা উভয়ের স্বামী মৃত্যুবরন করে। ৩য় মেয়ে হোসনেয়ারা একই এলাকার সরকারি কার্ডের জমিতে নির্মিত ঘর উত্তলন করে বসবাস করে আসছে। সেখানেই ঠাই হয় বৃদ্ধার। দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানেই ৪ মেয়ের ভরন পোষনে রয়েছেন তিনি। এদিকে বড় মেয়ে লুৎফুন নেসা (৬০) ছেলে রহিম খানের সাথে আতাত করে নিজের ভাগের জমি বিক্রি করে গেছে। বাকি চার বোন ও বৃদ্ধা মাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছেলে আব্দুল রহিম খান ও তার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন। নিজেদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে যেতে পারছেনা মাসহ বোনেরা। ওই বাড়ির সিমানায় ঢুকতে বারন করে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করে বৃদ্ধা মা।

এ ঘটনায় দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যদের কাছে লিখিত অভিযোগ শালিস দিয়ে কোন সুরাহা পাননি অসহায় ৪ বোন ও তাদের মা। বঞ্চিত হোসনেয়ারা বেগম ও ইয়ারুন নেসা বলেন, আমাদের ভাই ২০১৩ সালে সৌদি আরব চলে যায় এবং ২০২১ সালে ফিরে আসে। এই ৮বছর সে আমাদের ও বৃদ্ধা মায়ের কোন খোঁজ নেননি। উল্টো তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন বিভিন্ন সময় আমাদের বাপের ভিটা থেকে তারিয়ে দিয়েছে। বাপের জমি থেকে জোরপূর্বক বঞ্চিত করেছে। ভাই দেশে এসে মায়ের খোঁজ না নিয়ে স্ত্রীর পক্ষ হয়ে উল্টো বাবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী অন্যত্র ভাড়া বাসায় থাকে। সাম্প্রতিক মায়ের চিকিৎসার জন্য মেয়েরা দুটি গাছ বিক্রি করলে সেখানে এসে বাঁধা প্রদান করে রহিম ও তার স্ত্রী। আমরা অসহায় হয়ে পরেছি। জানিনা কার কাছে গেলে সঠিক বিচার পাব?

স্থানীয়রা বলেন, আব্দুল রহিম খানের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন নিজেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে অসহায় বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম ও তার মেয়েদের হয়রানি এবং হুমকি ধামকি দিয়ে কোনঠাসা করে রেখেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল রহিম খান বলেন, মা আমার কাছে থাকতে চায় না, আমাকে ভালো জানে না তাই ভরন পোষন দেয়া হয় না বলে নিজের ফোনটি স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের কাছে ধরিয়ে দেয়। শাহনাজ পারভিন বলেন, এটা পুরানো ঘটনা বিশ্বের সবাই জানে আপনি কি নতুন? আমি নয়টা মামলা খাইছি আমাকে সবাই চেনে।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন