দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ৭৭তম জন্ম‌দিনে শু‌ভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২১

দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর  ৭৭তম জন্ম‌দিনে শু‌ভেচ্ছা

দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী মর্যাদার) ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র এমপি’র ৭৭তম জন্মদিন আগা‌মিকাল। দক্ষিনাঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সন্তান। তিনি ১৯৪৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার জ্যেষ্ঠ ছেলে। নিজে বর্তমানে বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য।
রাজনৈতিক জীবন ঃ স্বাধীনতার পরপর ১৯৭৩ সালে ব‌রিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসাবে যাত্রা শুরু করেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সেবা দিয়ে জনগনের অকুন্ঠ ভালবাসা নিয়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার যোগ্যতার উপর আস্থা রেখে ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপের মতো গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব প্রদান করেন। পুরো ৫ বছরই তিনি এ দায়িত্বে বহাল থাকেন। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও নির্বাচিত হন। মূলত এর পর থেকেই বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চল আওয়ামীলীগের এক মাত্র অভিভাবক ও প্রান পুরুষ হিসাবে খ্যাতি পান বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে বার বার নির্বাচিত হওয়া এই সর্বজন প্রিয় নেতা।
এই সময়টাকেই তার জনপ্রতিনিধি ক্যারিয়ারের সর্ব শ্রেষ্ঠ ও স্বর্নালী সময় হিসাবে গন্য করা হয়। কারন চীফ হুইপ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পাহাড়ি জনজীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের পক্ষে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেন তিনি। দায়িত্ব পেয়েই তিনি অশান্তির পাহাড়ে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন। শান্তিু চুক্তি ছাড়াও পাহাড়ি জনজীবনে একটু স্বস্তি ফেরাতে নানা উদ্যোগ গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেন তিনি। ২০০৮ এবং ২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি তৃতীয়, চতুর্থ ও ৫ম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন। যা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার।
কিন্তু স্ত্রী বিয়োগ ও নিজেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দীর্ঘ প্রায় অর্ধ মাস চিকিৎসা শেষে দেশবাসীর দোয়ায় সুস্থ হয়ে সংসদ সচিবালয়ের সরকারী বাস ভবনে তিনি। এর পর আবার রাজনী‌তি‌তে স‌ক্রিয় হন। দলীয় ম‌নোনয়ন সভায় প্রধানমন্ত্রীর সা‌থে নিয়‌মিত বৈঠক কর‌ছেন তি‌নি। ৭৭তম জন্ম‌দি‌নে দ‌ক্ষিন বাংলার রাজ‌নৈ‌তিক অ‌ভিভাবক‌কে ব‌রিশাল প্রতি‌দি‌নের পক্ষ থে‌কে লাল গোলাপ শু‌ভেচ্ছা।

সংবাদটি শেয়ার করুন