ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২২

ঝালকাঠিতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আলমগীর হোসেন (৪০) নামের এক পুলিশের উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন উপজেলার পাটিখালঘাটার তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। তিনি বর্তমানে গোপনে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে মো. শাহিন হাওলাদার নামে এক ইউপি সদস্য জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর ভগ্নিপতির একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকানে পুলিশ সদস্যরা আড্ডা দিতেন। বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসার সুবাদে চায়ের দোকানে প্রায়ই বসতেন ওই নারী। সেখানেই এসআই আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই নারীর। গতকাল সোমবার রাতে এসআই আলমগীর সেই নারীর বাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করায় ওই নারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসআই আলমগীরকে কুপিয়ে জখম করে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী সেই নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে জসিম নামের একজন কল রিসিভ করেন। তাঁর কাছে ওই নারীর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন ফোন রেখে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় গেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম এবং এখন কুষ্টিয়া যাচ্ছি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি এসআই আলমগীর বর্তমানে তারাবুনিয়া তদন্ত কেন্দ্রে আছেন।’

কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করে জানান-তাঁকে এসআই আলমগীর ধর্ষণ করেছে। পরে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আলমগীর হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন