ঢাকা ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে ॥ প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় ভিকটিম শারমিন আক্তার শিলাকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিমের পরিবারের খরচ নির্বাহের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জীবননেছা মুক্তা জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
এদিকে এক সপ্তাহেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর ৩ জুন হাসপাতালের পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু কমিটি গঠনের ৭দিনেও তদন্দের কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। এতে বিবাদি করা হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল মেডিকেলের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. নাজিমুল হক বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য ও শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহীন অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা হাসপাতাল পরিচালকের কাছ থেকে আবেদন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে নিয়েছি। আগামী শনিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এদিকে অপারেশনের পর প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. নাজিমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশীদ জাহান ও শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহীনকে সদস্য করা হয়েছে।
এই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল রাতে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলা।
শারমিনের বাবা আব্দুর রব সিকদার বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেয়ে এনে ভর্তি করিয়েছি সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ে মরতে বসেছে। এভাবে হলে মানুষ যাবে কোথায়? আমি বিচার চাই এই অপচিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারের। তিনি বলেন, অপারেশনের পর যখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন শেবাচিম হাসপাতালেই মেয়েকে দেখাই। সেখানে বলে নাড়ি প্যাঁচ পড়েছে। ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তারা নতুন করে ওষুধ দেন। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় না। একপর্যায়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে সেখানের চিকিৎসক জানান পেটে গজ রয়েছে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। শেষে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করালে ২২ মে সকালে অপারেশন করা হয়।
পুনরায় অস্ত্রোপচার করে গজ বের করা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক তখন বলেন, দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়েছে। অপারেশন করা হয়েছে। তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network