কাতার বিশ্বকাপে অবৈধ যৌনাচারের শাস্তি ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২২

কাতার বিশ্বকাপে অবৈধ যৌনাচারের শাস্তি ৭ বছরের জেল

নভেম্বরে শুরু হবে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ। ফুটবল বিশ্বের মহাযজ্ঞে সামিল হতে দেশ-বিদেশের দর্শকরা জড়ো হবেন কাতারে। মুসলিম অধ্যুষিত কাতারে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীদের অগ্রীম সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে অবৈধ যৌনতা-মদ্যপানে। ধরা পড়লে দীর্ঘ সময়ের জন্য জেল খাটতে হবে অভিযুক্তকে।

কাতারে মোট জনসংখ্যার ৭৭.৫ শতাংশ মুসলমান। দেশটিতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলায় রয়েছে বাধ্যবাধকতা। কাতার বাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাস এতোটাই প্রকট যে, জনগণের সমালোচনার মুখে ২০১৩ সালে জিনেদিন জিদানের ‘হেডবাট’ ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২০০৬ বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করে জিদানের ঢুস কা-ের স্ট্যাচুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে পুনরায় প্রকাশ্যে না আনলেও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভাস্কর্যটি মিউজিয়ামে স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেদেশে মূর্তি স্থাপনে এতো প্রতিবন্ধকতা, সেখানে যৌনতা কিংবা মদ পানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বাভাবিকই।

ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলোর খবর, আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে কেউ অবৈধ যৌনতায় জড়ালে, রাতভর পার্টি করলে কিংবা সমকামিতায় লিপ্ত হলে ৭ বছরের জেল-জরিমানা হতে পারে। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ভক্ত-সমর্থকদের মার্জিত আচরণ প্রদর্শের অনুরোধ জানিয়েছে।

কাতারের পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘স্বামী-স্ত্রী ব্যতীত বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌনমিলন করা যাবে না।

এখানে যুগলদের ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড থাকবে না। কোনো পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে প্রথমবার এমনভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। সমর্থকদের সতর্ক থাকতে হবে।’

কাতারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বাদ দিয়ে যৌনমিলন এবং সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ। সে দেশে এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কাতার বিশ্বকাপে ফিফার প্রধান নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, ‘প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবার সামনে ব্যক্তিগত ভালবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য।’
কাতার সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। কাতার ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা শুধু সেখানে প্রকাশ করা উচিত যে দেশে এটা মানা হয়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন