সাকিব-ইফতেখারের টর্নেডো ॥ বরিশালের বড় জয়

প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩

সাকিব-ইফতেখারের টর্নেডো ॥  বরিশালের বড় জয়

এই না হলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ! সাকিব আল হাসান আর ইফতিখার আহমেদ মিলে রীতিমত টর্নেডো তুললেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দুজন মিলে গড়লেন ১৯২ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি।
ইফতিখার সেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৪৫ বলে। সাকিবও কম যাননি। ৪৩ বলে ৮৯ রানের এক দানবীয় ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এই যুগলের ব্যাটে চড়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়েছে ফরচুন বরিশাল। জবাবে রংপুর ১৭১ রান করলে ৬৭ রানের জয় পায় বরিশাল।

সাকিব-ইফতেখারের তান্ডবে বরিশাল ২৩৮ রান যৌথভাবে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বাধিক দলগত সংগ্রহ রংপুর রাইডার্সের। ২০১৯ সালে জহুর আহমেদেই চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ করেছিল দলটি। এছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও ২৩৮ (৪ উইকেটে ) রান আছে। সেটাও ২০১৯ সালের বিপিএলে, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদ। দুজন মিলে গড়লেন। এর মধ্যে একজন পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। জবাব দিতে নেমে রংপুর রাইডার্স শুরুতেই হারিয়ে ফেললো বেশ কয়েকটি উইকেট। শেষদিকে শামীম হাসানের ব্যাটে রান এলেও পায়নি জয়ের দেখা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশাল কাছে ৬৭ রানে হেরেছে রংপুর। আগে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের সংগ্রহ গড়ে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের সংগ্রহ এটি। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর।

পরের ওভারে এসে আবারও জোড়া উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমে ২০ বলে ২৪ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট নেন তিনি। এরপর মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বরিশাল। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য জুটি সাকিব-ইফতিখারের। ৮৬ বলে ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।
ইফতিখারের ৪৫ বলে ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার। ৪৩ বলে ৮৯ রান করতে সাকিব ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৬টি ছক্কা।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ৩ চারে ১৮ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রনি তালুকদার। তিনি হন রান আউট। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার সায়েম আয়ুবী বোল্ড হন মিরাজের বলে, ১৮ বলে করেন ১৮ রান।
ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি রংপুর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শামীম, ২৩ বল খেলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া ৬ চারে ১৮ বলে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে ২৪ বলে আসে ৩৩ রান।

সংবাদটি শেয়ার করুন