ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২০
পাকিস্তানের রাজনীতির সঙ্গে বিতর্ক লেগে থাকা নতুন কিছু নয়। দেশটির ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সরকারের প্রধান ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করছে বিরোধীদলগুলো। আজ ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির প্রধান প্রধান প্রদেশ ও শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এক কাতারে এসে দাড়িয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) গঠন করে। ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে দেশটির বামপন্থী, ডানপন্থীসহ উদার ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো অভূতপূর্ব এই ঐক্য গড়ে তোলে। গত ১৬ অক্টোবর থেকে এই জোট একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
এর মধ্যে দেশটির প্রাক্তন ও বর্তমানে নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জামাতা সাফদার আওয়ানকে সেনাবাহিনী ও সরকার মিলে গ্রেপ্তার ও হেনস্থা করার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা অভিযোগ করে, ইমরান খান একটি পুতুল সরকারের প্রধান। নওয়াজ শরীফ লন্ডন থেকে প্রচারিত তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এই সরকারকে পেছন থেকে কারা চালাচ্ছে তা সবাই জানে। এছাড়া ইমরান খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সব বিরোধীদলগুলোই অভিযোগ করে আসছে, সেনাবাহিনীর মদদেই ক্ষমতায় এসছেন ইমরান খান। সাফদার আওয়ানকে গ্রেপ্তারের পর সেনাবাহিনী বেশ বিব্রত হয়েছিল।
তবে দেশটির সেনাবাহনী বরাবরের মতো ইমরান খানের সরকারকে মদদ দানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি এমন অনাস্থায় শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী কি ভূমিকা নেয়, সেটিই দেখার বিষয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে, সবচেয়ে বড় আশঙ্কাটি হলো, আবারও কি ক্ষমতার দৃশ্যপটে হাজির হবে সেনাবাহিনী- দেশটির নাম পাকিস্তান বলেই এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network