স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে নতুন পদ্ধতি বিএনপির তৃণমূলে স্বস্তি

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে নতুন পদ্ধতি বিএনপির তৃণমূলে স্বস্তি
স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব তৃণমূল নেতাদের হাতে যাওয়ায় বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। পুরনো পদ্ধতির কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশ আমলে নিচ্ছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের নেতারা। ফলে সুযোগ্য নেতাদেরই এবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা), পৌরসভা মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানপদে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রার্থী মনোনয়নে এবার কেন্দ্র থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এমনকি স্থানীয় নেতাদের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেওয়ার পর ওই জেলা বা থানার কেন্দ্রীয় কোনো নেতা সুপারিশ করলেও সেটা রাখা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, হাইকমান্ড দলের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে ও তৃণমূল নেতাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৪৮টি মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তারা নিজ হাতে গুলশান কার্যালয় থেকে চিঠি নিয়েও গেছেন। গুলশান অফিস সূত্র জানায়, সারাদেশ থেকে আগত এসব প্রার্থীর তালিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের জন্য সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুকে। তিনি বলেন, প্রাথমিক ধাপে প্রার্থীদের সুপারিশ তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে এসেছে। সেটা দলের মহাসচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বাক্ষর করে প্রার্থীদের কাছে হস্তান্তরও করেছেন।প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা তৃণমূলে গেলেও আরও স্বচ্ছতা বাড়াতে বাছাই কমিটিতে নেতার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব নেতা বলেন, উপজেলা পরিষদের জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্য মিলে সুপারিশ করার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, এই পদে নির্বাচন করতে চান খোদ জেলার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকও। এই পদে বাছাইয়ের জন্য যদি সংশ্লিষ্ট জেলার সব থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতামত চাওয়া হতো তাহলে বাছাই প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হতো। আবার ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে যদি ওয়ার্ডের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মতামত নেওয়া হতো তাহলে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি যোগ্য প্রার্থী বেরিয়ে আসত।দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তৃণমূল তাদের নেতৃত্ব বাছাই করবে, এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রম্নটি থাকলে বা এই প্রক্রিয়াকে আরও সমৃদ্ধ করার দরকার হলে তা করা হবে।৪৮ জন পেলেন ধানের শীষের টিকিটবিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৮ জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান- ৩৭ জন। উপজেলা চেয়ারম্যান- ৮ জন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পুরুষ ২ জন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নারী ১ জন।
সংবাদটি শেয়ার করুন