বাকেরগঞ্জের চরামদ্দিতে খাল থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ফসলি জমি

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০

বাকেরগঞ্জের চরামদ্দিতে খাল থেকে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ফসলি জমি

পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি।। বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া গ্রামের সরকারি প্রাঃ স্কুল সংলগ্ন সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে আত্মঘাতি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি,কাটাদিয়া–চরকাউয়া সড়ক ও আশপাশের বসতবাড়ি।বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া প্রাঃ স্কুল সংলগ্ন স্থানে গত আটদিন ধরে ভিটি বালু উত্তোলন করছেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির। ড্রেজার মেশিন দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পানির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও সড়ক। পূর্বেও ওই খাল থেকে বালু উত্তোলন করে কবির মেম্বর। এ্যাসিলান্ড বন্ধ করে দেয়া সত্যেও বন্ধ হয়নি কবিরের বালু চুরি।বালু উত্তোলনে নিষেধ করায় উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। কালিদাসিয়া গ্রামের একাধীক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকিবেদককে জানান, গ্রামের ইউপি সদস্য কবির সরকারি খাল ও খাস জমি থেকে আত্মঘাতি ড্রেজার দিয়ে বছরকে বছর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। খাল সংলগ্ন আমাদের অনেকেরই ফসলি জমি থাকায় আমরা চিন্তিত কখন তা ভেঙ্গে খালে চলে যায়। এর কারনে আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হব। আমার জমির কাছের খাল থেকে বালু উত্তোলন করার বিষয়টি জানার পর কয়েক বার নিষেধ করেছি। কিন্তু কবির মেম্বার আমার কোনো কথা না শুনে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আমার জমিও হুমকির মধ্যে আছে। খালের উত্তর পার হিজলতলা গ্রামের আজিজুল, নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ কাটাদিয়া বাজারের দুলাল হোসেন, হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বাড়ি ঘর, খাল, রাস্তা। বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আমরা বেশ কয়েক বার বাধা দিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। বালু উত্তোলনকারী কবির মেম্বার বলেন, এলাকাবাসীর স্বার্থে খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যেহেতু বালু উত্তোলন করে রাস্তায় বালু দেয়া হচ্ছে। চরামদ্দি ইউনিয়ন তহসিলদারকে বিষয়টি জানালে তিনি দেখবেন বলে জানান। বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলঅম বলেন, বিষয়টি কেউ বলেনি। খোঁজ নিয়ে দেখার পর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন