মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ১২ বছরের শিশুর আত্মহত্যা।

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২১

মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে  না পেরে ১২ বছরের শিশুর আত্মহত্যা।

মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেয়ে ১২ বছরের শিশু ফাতিমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার ভায়লাবুনিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায়। রবিবার পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
জানাগেছে, উপজেলার ভায়লাবুনিয়া গ্রামের মজনু হাওলাদারের স্ত্রী বিলকিস বেগম গত বছর ২০ নভেম্বর মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের এ মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ১২ বছরের শিশু কন্যা ফাতিমা আক্তার। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ফাতিমা মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। প্রায়ই একা একা ঘরের মধ্যে বসে থাকতো। পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে তাকে মায়ের শোক ভোলাতে পারেনি এমন দাবী পরিবারের। শনিবার বিকেলে শিশু ফাতিমা ঘরের দোতালায় শুয়ে ছিল। ওই সময় ঘরে কেউ ছিল না। এ সুযোগে শিশু ফাতিমা ঘরের আড়ায় সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ফাতিমার সারাশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। পরে ঘরের দোতালায় আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন রাতে শিশু ফাতিমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শিশু কন্যা ফাতিমার বাবা মজনু হাওলাদার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, ওর মা গত বছর ২০ নভেম্বর ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ওর মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ফাতিমা মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কাজ হয়নি। ওর মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ বলেন, পরিবারের দাবী মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানায় ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মনিরুজ্জামান সুমন

সংবাদটি শেয়ার করুন