ভোলা-চরফ্যাশনের সন্তান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও অনলাইন টেলিভিশন বেঙ্গলী ২৪.টিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রেদওয়ানুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ ও লুটপাটের মামলা করেছে ভূমিদস্যুরা৷ চরফ্যাশন মেজিস্ট্রেট আদালত ও ভোলার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড চর নিউটনের আবু জাহের মাঝি ওরফে জাহের রং ও তার ভাতিজা ফিরোজ রং একই এলাকার মোসলে উদ্দিন ওরফে ধলু এর সাথে যোগসাজশে মৃত মাঈন উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন ও ফরিদ মিয়ার প্রায় এক একর জমি দীর্ঘ চৌদ্দ বছর যাবৎ দখল করে রাখে। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টার পরেও জমি উদ্ধার করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা। জমির মালিকদের অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে প্রেসটাইম ২৪.কম এর স্টাফ রিপোর্টার রেদওয়ানুল হক। ঘটনার সত্যতা মিললে গত জুন মাসে বিষয়টি চরফ্যাশন থানার তৎকালীন ওসি শামসুল আরেফিন এবং চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদারের নজরে আনলে তারা ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমিটি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেন। দীর্ঘদিনের দখলি জমি হাতছাড়া হওয়ায় সাংবাদিক রেদওয়ানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ভূমিদস্যু জাহের রং ও তার সহযোগীরা। জাহেরের সহযোগী ফিরোজ রং, মোসলে উদ্দিন ওরফে ধলু সাংবাদিক রেদওয়ানকে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ধলু মিয়ার স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে বাদী করে চরফ্যাশন আদালতে মামলা নং সি.আর ৩৪৬ ও তার কন্যা কণিকাকে বাদী করে ভোলা নারী ও শিশু আদালতে মামলা নং৫৩৮/২০ দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।উল্লেখ্য জাহের ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি ও দোকানপাট দখল করে মানুষকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে নারী-শিশু, চাঁদাবাজি, হত্যা ধর্ষণ সহ স্পর্শ কাতর সব মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়। এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চক্রটির এমন শত শত অপকর্মের তথ্য।