ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২১
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপে আগামী ২২ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু বিদ্যালয়ে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের নিয়মিত স্কুলে যেতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার একটি বিষয় আছে। পাঠকার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের কার্যক্রম কিন্তু বন্ধ নেই। ফলে শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতির বিষয়ে অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। বিষয়টি তাদের অজানা নয়।
তবে করোনার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অভিযোগ করে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন, স্কুলে অনেক সময় আমাদের কোনো কাজ থাকে না। প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন স্কুলে ডেকে অযথা বসিয়ে রাখেন। অনেক সময় দেখা যায় প্রধান শিক্ষক আমাদের স্কুলে ডেকে নিজেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
আয়রা মাহমুদা নামের এক শিক্ষিকা বলেন, এক বছরের বেশি সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে অনেক সঙ্কটে পড়বেন শিক্ষকরা।
একাধিক বিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সপ্তাহে দুদিন করে স্কুলে আসতে হয়। করোনার মধ্যেও শিক্ষকদের কার্যক্রম কিন্তু থেমে নেই। প্রায় প্রতিটি স্কুলে চলছে উন্নয়ন ও করোনা প্রতিরোধী কার্যক্রম। জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, কোন শিক্ষক কবে আসবেন এটি প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা ঠিক করবেন। কিন্তু শিক্ষকদের প্রয়োজনেই বিদ্যালয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যালয়ে যায়। করোনার শুরু থেকে এখনো আমরা যাচ্ছি। তবে অধিদপ্তর থেকে মৌখিক নির্দেশনা আমাদেরকে দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি।
তবে একাধিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩০ মার্চ বিদ্যালয় খোলার জন্য একটি রেজুলেশন করে চিঠি দেয়া হয়েছিলো। তাতে বলা হয়েছিলো শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিত থাকার বিষয়ে। এরমধ্যে অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি আমরা পাইনি। যে কারণে আগের চিঠির নির্দেশনায় বলবত থাকবে।
উল্লেখ্য, রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে করোনার সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীগণ নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে বলে জানানো হয়। এছাড়া অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষকদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network