চরম ভোগান্তির ঢাকা যাত্রা

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১

চরম ভোগান্তির ঢাকা যাত্রা

জিয়া শাহীন ॥ কারখানা খুলেছে কিন্তু যাববাহন বন্ধ। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে ঢাকায় কর্মরত দখিনের মানুষ। কারখানায় ১ তারিখ যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না এমন বার্তা পেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যে যেমনভাবে পাড়ছে ছুটছে। কেউ মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে, কেউ ট্রাকে, কেউ মাক্রোবাসে করে মাওয়া ফেরি ঘাটের দিকে ছুটছে। এর এ সুযোগে ৩০০ টাকা ভাড়ার স্থলে খোলা ট্রাকে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় মাওয়া অব্দি যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর মটরসাইকেলে দাবি করা হচ্ছে ৪-৫ হাজার টাকা। কেউ বার যাচ্ছে তিন চাকার মাহিন্দ্রায়।
প্রায় আকস্মিকভাবেই সরকার ১লা আগষ্ট থেকে সকল কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু গণ পরিবাহনের উপর নিষেধাজ্ঘা বহাল থাকে। কোরবানী ঈদে গ্রামের বাড়িতে আসা কর্মমূখী মানুষদের মাথায় যেন বাজ পড়ে। গণ পরিবহন ছাড়া সূদুর পথ পাড়ি দিয়ে কিভাবে রাজধানীতে পৌছে কর্মস্থলে যোগ দিবেন সেটাই ছিল তাদের ভাবনার বিষয়। সকাল থেকেই বরিশালের প্রতিটি বাস স্টেশনে কর্মমূখী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু মাওয়া ফেরি ঘাট অব্দি যাবার কোন বাহন তারা পাচ্ছিল না। খোলা ট্রাকগুলো ইচ্ছেমত ভাড়া দাবি করতে থাকে। যানবাহন না পেয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ এক পর্যায়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকাতে থাকেন।
বশির মিয়া ঢাকার একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করেন। নলছিটি থেকে অটো রিকাসায় বরিশাল রূপাতলী আসেন। এরপর যানবাহন না পেয়ে হাটতে হাটতে কয়েক মাইল পরে দেখেন, ঢাকাগামী যাত্রীরা একটি ট্রাকে উঠছে। কাছে গিয়ে ভাড়া জানতে চাইলে ট্রাকচালক হাঁকেন ৮০০ টাকা। বশির ৬০০ টাকা বললেও রাজি হননি।
এরপর ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেল চালকদের কাছে যান তিনি। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত যেতে তারা চাইলেন ৪ হাজার টাকা। কিছুক্ষণ পর একটি মাহিন্দ্রা ৭০০ টাকায় যেতে রাজি হলে তাতে চড়েই শুরু হয় শফিকের যাত্রা।
কিন্তু বশির মিয়ার মত সৌভাগ্য অনেকেরই হয়নি। তাইতো পরিবহন না পেয়ে এক পর্যায়ে সড়ক অবরোধের মত ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক করে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নও রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন