বরিশালে কোরআন অবমাননা করে ফেসবুকে আপত্তিকর কমেন্ট ॥ মন্দির ভাংচুর ॥ যুবক আটক

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২১

বরিশালে কোরআন অবমাননা করে ফেসবুকে আপত্তিকর কমেন্ট ॥ মন্দির ভাংচুর ॥ যুবক আটক

পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে চরম আপত্তিকর কমেন্ট করায় উত্তেজিত জনতা মহানন্দ বৈদ্য নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পাশাপাশি উত্তেজিত জনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধুরিয়াইল কাজিরপাড় গ্রামে।
আটক মহানন্দ বৈদ্য ওই গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় বৈদ্যর পুত্র। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে চরম আপত্তিকর কমেন্ট করে মহানন্দ বৈদ্য। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তির নজরে আসলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা মহানন্দকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে একইদিন রাতে স্থানীয় জনতা জোটবদ্ধ হয়ে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, পাশ্ববর্তী হরি মন্দির এবং জগদিশ বৈদ্যর বাড়ির হরি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত বালা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা সকল ধর্মের লোকজন একসাথে বসবাস করে আসছি। সদ্যসমাপ্ত সার্বজনীন দূর্গা পুজার সময়েও সকল ধর্মের লোকজনের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করেছে। যে কারণে কোনধরনের ঝামেলা ছাড়াই আমরা বিজয়া দশমী শেষ করেছি। তিনি আরও বলেন, কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে আপত্তিকর কমেন্টকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এ কমেন্ট যে করেছে সে যেই সম্প্রদায়ের হোকনা কেন, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে একদল উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে মন্দিরের প্রতিমাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। এসময় নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশালে কোরআন অবমাননা করে ফেসবুকে আপত্তিকর কমেন্ট ॥ মন্দির ভাংচুর ॥ যুবক আটক

পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে চরম আপত্তিকর কমেন্ট করায় উত্তেজিত জনতা মহানন্দ বৈদ্য নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পাশাপাশি উত্তেজিত জনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধুরিয়াইল কাজিরপাড় গ্রামে।
আটক মহানন্দ বৈদ্য ওই গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় বৈদ্যর পুত্র। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে চরম আপত্তিকর কমেন্ট করে মহানন্দ বৈদ্য। শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তির নজরে আসলে মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা মহানন্দকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পরবর্তীতে একইদিন রাতে স্থানীয় জনতা জোটবদ্ধ হয়ে ধুরিয়াইল কাজিরপাড় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, পাশ্ববর্তী হরি মন্দির এবং জগদিশ বৈদ্যর বাড়ির হরি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত বালা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা সকল ধর্মের লোকজন একসাথে বসবাস করে আসছি। সদ্যসমাপ্ত সার্বজনীন দূর্গা পুজার সময়েও সকল ধর্মের লোকজনের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করেছে। যে কারণে কোনধরনের ঝামেলা ছাড়াই আমরা বিজয়া দশমী শেষ করেছি। তিনি আরও বলেন, কোরআন শরীফকে অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে আপত্তিকর কমেন্টকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এ কমেন্ট যে করেছে সে যেই সম্প্রদায়ের হোকনা কেন, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বৈদ্য জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে একদল উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে মন্দিরের প্রতিমাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। এসময় নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন