ঢাকা ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার/ বরিশাল শিক্ষা সেক্টরের রন্ধে রন্ধে ছিল দুর্নীতি। একজন শিক্ষকের বেতন বিল ছাড় করাতে কমপক্ষে ২০/ ৩০ হাজার টাকা লাগত, যা ছিল ওপেন সিক্রেট। পিওন থেকে অফিসার পর্যন্ত টাকা খেত। এমন অবস্থায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে যোগদান করেন মোঃ আনোয়ার হোসেন। যোগদানের পরমুহুর্তে তিনি তার অফিসের প্রবেশ মুখে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন। যাতে লেখা ছিল, ” আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত”। আমরা দুর্নীতি করব না, দুর্নীতিকে সহযোগিতাও করব না। এরপর থেকে জেলা শিক্ষা অফিসে কোন ফাইলে একটি টাকাও ঘুষ নেবার সংবাদ মেলেনি। বরং তার কঠোর মনোভাবে দিশেহারা হয়ে অফিসের কিছু কর্মচারী স্বেচ্ছায় বদলি হতে থাকেন। অফিস কর্মচারী শুণ্য হয়ে পড়লেও তিনি দমে যান নি। নিজের রুমে কম্পিউটার বসিয়ে একাই কাজ করতে থাকেন। ছিল না কোন সময়ের হিসাব। তার সততার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের শুণ্য পদটির দায়িত্ব দেয়া হয়। এক সাথে দুটি দপ্তরই তিনি সফলতার সাথে পরিচালনা করতে থাকেন। দুটি দপ্তরই ঘুষ , দুর্নীতিমুক্ত হিসাবে শিক্ষা সেক্টরে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এরই পুরুস্কার হিসাবে গত রোববার তাকে উপপরিচালকের পুর্ন দায়িত্ব অর্পন করে মাধ্যমিক ও উচ্চরশিক্ষা অধিদপ্তর।
নগরীর অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফকরুজ্জামান বলেন, শিক্ষা সেক্টরকে কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত করতে হয় তা দেখিয়েছেন মোঃ আনোয়ার হোসেন। শুধু অফিস দুর্নীতি মুক্তই নয়, তিনি প্রায় প্রতিদিন দু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারপ্রাইজ ভিজিট করতেন। ডিডির দায়িত্ব পেয়ে তিনি নলছিটি, ঝালকাঠি পিরোজপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করতেন। যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। নগরীর ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আঃ মোমেন হাওলাদার জানান, তিনি তার বেতন ফাইলটি গতমাসে জমা করেছেন। অন লাইনে দেখা যাচ্ছে ফাইলটি স্বাভাবিকভাবেই দপ্তর থেকে দপ্তরে যাচ্ছে। তার একটি পয়সাও খরচ হয়নি।
তবে দুর্নীতি মুক্ত অফিস করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতাও কম ছিল না। কর্মচারীরা স্বেচ্ছায় বদলী, অখ্যাত কিছু অন লাইনে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় করার কম চেষ্টা হয় নি। আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, তিনি নিজে দুর্নীতি মুক্ত, তাই তার অফিসকেও শত বাধার পরও দুর্নীতি মুক্ত করতে পেরেছি। একজন শিক্ষকের ফাইল আটকে টাকা খাওয়ার মত জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছে। আমি তার কর্মচারী হয়ে সে শপথ বাস্তবায়ন করার চেস্টা করছি। শিক্ষকদের দুরাবস্থা থেকে তাদের মুক্ত করতে চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহ সহায়।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network