বরিশাল স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২

বরিশাল স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম ধাপে পাঁচটি প্যাকেজের কাজ শুরুও হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হলে এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক খেলাধুলা বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা নির্বিঘেœ অনুষ্ঠিত হতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে বরিশাল বিভাগে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।

শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্ধশত কোটি টাকার এই প্রকল্পে আমূল পরিবর্তন আসবে ইনডোর ও আউটডোর স্টেডিয়ামে। সে সাথে সুইমিং পুলের সঙ্কটও নিরসন হবে। আর এতে দক্ষিণাঞ্চলে ক্রিকেট খেলার অবকাঠামোতেও আমূল পরিবর্তন ঘটবে। প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত ক্রিকেট মাঠ, পাঁচটি পিচ, গ্যালারিতে চেয়ার সিটিং ও আচ্ছাদন নির্মাণ, জিমনেসিয়াম, ইনডোর নেট প্র্যাকটিসের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা স্থাপন, প্যাভিলিয়ন ভবন, মিডিয়া ভবন, প্লেয়ার্স ড্রেসিং রুম, ডরমেটরি তৈরি, ফ্লাড লাইট, গার্ডেনিংসহ একাধিক উন্নয়নকাজ করা হবে। তবে, প্রথম ধাপে পাঁচ প্যাকেজে প্যাভিলিয়ন ভবন ও মিডিয়া ভবন, চাপকলসহ ডরমেটরি নির্মাণ, ইনডোর নেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, আন্তর্জাতিক সিস্টেমে মাঠ তৈরি ও গ্যালারিতে আচ্ছাদন দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক আলমগীর বরিশালটাইমসকে হোসেন আলো জানান, বরিশালে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ঢাকার সাথে সাথে এখানেও সিলেট-রাজশাহীর মতো আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শুধু একটি স্টেডিয়াম নয়, এর সাথে ইনডোর স্টেডিয়াম, আউটডোর আরেকটি ভেনু ছাড়াও লাইটিং ও সুইমিং পুল চালু হতে যাচ্ছে, যা বরিশালে কোনো দিনই চালু ছিল না।

প্রকল্প পরিচালক মো: শাহ আলম সরদার জানান, আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং জেলা সুইমিংপুলের উন্নয়ন প্রকল্পটি ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হতে একটু বিলম্ব হবে। কোভিডের কারণে নির্ধারিত সময়ে এটি শুরু করা যায়নি। তবে, এটি দ্রুত করার এখন চেষ্টা চলছে।
বরিশাল সফরকালে প্রকল্প প্রকৌশলী শিবু লাল খাসকেল জানান, সাধারণত আন্তর্জাতিক মানে মাঠ তৈরি করতে হলে চারিদিকে ৪৫০ ফিট মাঠ দরকার এখানে তা ৪৮০ ফিট, অনেক ক্ষেত্রে তার থেকেও বেশি রয়েছে। এ ছাড়া স্প্রিং ল্যাব সিস্টেমে মাঠ তৈরি ও গ্যালারিতে আচ্ছাদনের কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ শামীম জানান, বরিশালে অবকাঠামো উন্নয়ন সূচনায় প্রভাব পড়বে। এর ফলে গতি বাড়বে খেলাধুলায়।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, সুইমিং পুলটির জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এটি সংস্কার করে তেমন লাভ নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। এই কারণে হয়তো এর ডিপিপি চেঞ্জ হলে সময়সীমা ও খরচ দুটোই বাড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন