আদালতে ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি তুলতে গিয়ে সমর্থকদের হামলায় ২০ জন সাংবাদিক আহত

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২

আদালতে ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি তুলতে গিয়ে সমর্থকদের হামলায় ২০ জন সাংবাদিক আহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশালে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিলাম ডিক্রি, দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে অন্যের জমি আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বরিশালের বাকেরগঞ্জের ৩নং দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সহ ৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসান বিচারাধীন আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে নেওয়ার প্রাক্কলে চিত্র ধারন করতে গেলে ফটো সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আইনজীবী সহকারী ও ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এতে কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় ১৮ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকালে বরিশাল আদালত প্রাঙ্গন ও এর সামনে সড়কে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় হাসপাতালে ভর্তিরত আহতরা হলেন, আমাদের বরিশাল পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোঃ নাঈম, আহসান আকিব, মতবাদের এন আমিন রাসেল, বাংলার বনের শাফিন আহমেদ রাতুল, জিয়াদ, জুয়েল, আজকের বরিশালের সাইফুল ইসলাম, সুজন হাওলাদার, আবু কালাম আজাদ (সোহাগ), সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, বাংলা ভিশন চ্যানেলের কামাল হোসেন, মোহনা টেলিভিশনের অপুর্ব বাড়ৈ, যমুনা টেলিভিশনের শুভ হাওলাদার, মাই টিভির শফিক হোসেন, লিটন মোল্লা, প্রথম সকাল পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সুমাইয়া জিসান ও সুন্দরবন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিজান পলাশসহ মোট ১৮ জন। আহতরা জানায়, দাড়িয়াল ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫ জনকে জালিয়াতি মামলায় জেল হাজতে প্রেরণের খবরে আদালত প্রাঙ্গনে ফটো সাংবাদিকরা যায়। এরপর সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ছেলে সুজন হাওলাদার, সাইফুল ও আইনজীবী সহকারি কামরুজ্জামান, বাপ্পি সহ বেশ কয়েকজন। ম্যানেজ করতে না পেরে ইউপি চেয়ারম্যানের ছবি ধারণের সময় ফটো সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রথম দফার হামলায় বেশ কয়েকজন ফটো সাংবাদিক আহত হয়। পরে প্রতিবাদ করতে গেলে ফটো সাংবাদিকদের উপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে আদালতের সামনে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় সাংবাদিকদের। ভাঙচুর করা হয় সাংবাদিকদের ৬/৭টি মোটরসাইকেল। এরপর অন্যান্য সাংবাদিকরা আদালত প্রাঙ্গনে গেলে তাদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আইনজীবী সহকারিরা। পরে বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কবির উদ্দিন প্রামানিক ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ বিষয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আপাতত আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে ভর্তি করেছি। আমরা আমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে জানাবো। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানা ওসি আজিমুল করিম বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন