১২ কেজি এলপিজির নতুন দাম ১৪৩৯ টাকা

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২২

১২ কেজি এলপিজির নতুন দাম ১৪৩৯ টাকা

দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবার বাড়ল। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ১ হাজার ৩৯১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৯ টাকা করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে এটি কার্যকর হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম চড়া বলেই দেশে দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

আজ রোববার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এবার ১২ কেজিতে দাম বেড়েছে ৪৮ টাকা। আগের মাসে বেড়েছিল ১৫১ টাকা। আর উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।
বেসরকারি খাতে প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা, যা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এ হিসাবে বিভিন্ন পরিমাণের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। আগের মাসের চেয়ে কেজিতে দাম বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৪ টাকা ৭৮ পয়সা।

গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এ সংস্থা। এর পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। শিগগিরই দাম কমার সম্ভাবনা বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা অনুমান করা খুব কঠিন। ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, ভর্তুকি পুরোপুরি সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত। বেসরকারি এলপিজি খাতে এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো ভর্তুকির সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাম ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে গত সেপ্টেম্বরে আবার গণশুনানি করে কিছু সংশোধনী আনে কমিশন।

সংবাদটি শেয়ার করুন