ঢাকা ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় হলতা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর নকশা জটিলতায় দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলার নলী জয়নগর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী বরগুনার পাথরঘাটার নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন হলতা নদীতে ওই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলী জয়নগর গ্রামের হলতা নদীর ওপর ৩৯ মিটার দৈর্ঘের গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় পিরোজপুরের আবির অ্যান্ড সর্দার (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজের মেয়াদ ছিল ১৮ মাস। ২০২০ সালের শেষ দিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ ৩৫ ভাগ শেষ হয়। এরপর দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে আবির অ্যান্ড সর্দারের স্বত্বাধিকারী আহসান হাফিজ বলেন, সেতুর দুই পাশের পাইলের কাজ শেষ। এরপর নদীর মধ্যে পায়ার (খুঁটি) নির্মাণ করতে শুরু করি। তবে পায়ার তৈরির জন্য স্থায়ী কেজিং (পায়ারের চারপাশে লোহার পাইপের বেষ্টনী) দরপত্রে ধরা হয়নি। এলজিইডির পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্থায়ী কেজিংয়ের টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করব।’
মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন বলেশ্বর নদ থেকে শুরু হয়ে হলতা নদী মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে। হলতা নদীর দুই তীর ভরাট হয়ে নদী সরু হয়ে গেছে। নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯ ডিসেম্বর দেখা যায়, নদীর দুই তীরে শুধু পাইলের কাজ করা হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে মানুষ চলাচল করছে।
উপজেলার নলী জয়নগর গ্রামের বাদল খান বলেন, ‘মাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে হলতা নদীর সেতুটি পার হয়ে নাচনাপাড়া বাজারে যাতায়াত করতেন। এ ছাড়া নাচনাপাড়া বাজারে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার গরু–ছাগলের হাট বসে। পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু করার পর কৃষক ও গরু ব্যবসায়ীদের অনেক পথ ঘুরে বাজারে যেতে হচ্ছে। দীর্ঘ দুই স্থানীয় লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক বরুন সিকদার বলেন, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা, নলী, নলী জয়নগরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ হলতা নদী পার হয়ে নাচনাপাড়া বাজার, কাকচিড়া লঞ্চঘাট, পাথরঘাটা ও বরগুনায় যাওয়া–আসা করেন। এখন সেতু না থাকায় সাঁকো পার হতে হয়। সাঁকো দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
মঠবাড়িয়ার নলী গ্রামের ইজিবাইকচালক মো. শাহিন বলেন, ‘ভাড়া নিয়ে সেতু পার হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যেতাম। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতু ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিন বছর ধরে ভোগান্তিতে রয়েছি। ভাড়া নিয়ে ওপরে (পাথরঘাটার নাচনাপাড়া) যেতে পারছি না। যাত্রীদের সেতুর কাছে নেমে নদী পার হয়ে অন্য গাড়ি করে গন্তব্যে যেতে হয়।’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি ও অর্থাভাবে সেতুটির কাজ নিদিষ্ট সময়ে শেষ করা যায়নি। এরপর দেখা গেল নদীর মধ্যে পায়ার তৈরির জন্য স্থায়ী কেজিং আইটেম দরপত্রে ধরা হয়নি। এসব কারণে সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থায়ী কেজিংয়ের জন্য পুনরায় নকশা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নকশা অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network