ঢাকা ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
আলোচিত এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে দাঁড়িয়ে ছিল তার বিলাসবহুল বাড়িটি।
এরশাদ শিকদারের বহু অপকর্মের সাক্ষী ছিল এ বাড়ি। কোনো এক সময় এ বাড়ি দেখার জন্য ভিড় লেগে থাকতো।
২০০৪ সালের ১০ মে খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর করার পর জৌলুশ হারানো বাড়িটি ছিল রহস্যে ঘেরা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে দোতলা এ বাড়িটির একাংশ ভাঙতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। তবে এ বিষয়ে এরশাদ শিকদারের পরিবারের সদস্যদের কেউ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে বাড়ি ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রবিউল জানান, স্বর্ণ কমলের অর্ধেক ভেঙে ফেলা হবে। যেখানে ১০ তলা ভবন করা হবে। এরশাদ শিকদারের ছেলেরাই ১০ তলা ভবন করবেন।
জানা যায়, এরশাদের দুই স্ত্রী খোদেজা বেগম ও সানজিদা নাহার শোভা। এরশাদ শিকদারের তিন ছেলে রয়েছে। তারা হলেন- মনিরুজ্জামান শিকদার জামাল, কামাল শিকদার ও হেলাল শিকদার। তারা পেশায় ব্যবসায়ী। এছাড়া সুবর্না ইয়াসমিন স্বাদ ও জান্নাতুল নওরিন এশা নামে এরশাদ শিকদারের দুই মেয়ে ছিল। যার মধ্যে এশা ২০২২ সালের ৩ মার্চ আত্মহত্যা করে মারা যান।
কথিত আছে, এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল বাড়ি স্বর্ণকমল যে বানিয়েছিল তাকেও নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল এরশাদ শিকদারের হাতে। তার অপরাধ ছিল, এ বাড়িটি বানানোর সময় কিছু অংশ ঢুকে গিয়েছিল অন্যের জমিতে। একটি গোপন সূত্র থেকে জানা যায় যে, এরশাদ শিকদার যখন জীবিত ছিলেন তখন অবৈধ উপায়ে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছিলেন। ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, চোরাচালানসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করতেন না। অবৈধ উপায়ে অর্জিত এ টাকা তিনি ব্যাংকে রাখার পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের দাদন ব্যবসা, সুদের ব্যবসা, জমি ক্রয় ও বিক্রয় এবং বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ধার দিয়ে তাদের সঙ্গে সু সম্পর্ক বজায় রাখতেন। আর এ অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়েই তিনি এ বিলাসবহুল বাড়ি স্বর্ণকমল তৈরি করেছিলেন। সেই সময়ে বাড়িটিতে গোপন কুঠরি এবং অস্ত্র ভাণ্ডার ছিল বলে শোনা যায়। ওই বাড়িটির বিভিন্ন গোপন স্থানে নগদ কয়েক কোটি টাকা লুকানো ছিল। প্রায়ই জলসা বসত বাড়িটিতে। শহরের নামীদামী ব্যক্তিরা যেতেন সেখানে। এক সময় সাধারণ মানুষের খুব আগ্রহের একটি জায়গা ছিল ‘স্বর্ণকমল’। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ বাড়িটি দেখতে আসতো। আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ওই বাড়িটি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network