ঢাকা ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৩
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী ১৭ জুলাই (সোমবার) থেকে ১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার (প্রাইভেট চেম্বার) এবং ব্যক্তিগত অস্ত্রোপচার (প্রাইভেট অপারেশন) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ চিকিৎসকদের সংগঠন ওজিএসবি (অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সালমা রউফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, শনিবার দুপুরে বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে তিনদিনের কর্মসূচি গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী ১৬ জুলাই দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ, জেলা, উপজেলা এবং প্রাইভেট হাসপাতালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন করবেন চিকিৎসকরা। সেইসঙ্গে আগামী ১৭ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সবার প্রাইভেট চেম্বার এবং প্রাইভেট অপারেশন বন্ধ থাকবে।
এই কর্মসচির পর ১৮ জুলাইতে ওজিএসবি ফের বিএমএর সঙ্গে বৈঠকে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।
গত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অস্ত্রোপচারে নবজাতকসহ মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখি নামে এক তরুণী। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হন ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
অন্তঃসত্ত্বা আঁখিকে ৯ জুন দিবাগত রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে এনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে। যদিও ওই চিকিৎসক তখন দেশের বাইরে ছিলেন। বিষয়টি রোগী বা স্বজনদের থেকে আড়াল রাখে কর্তৃপক্ষ। অন্য চিকিৎসকরা তার স্বাভাবিক প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়ে গত ১১ জুন অস্ত্রোপচার করেন। এ সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরে আঁখিও মারা যান।
ওই ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আঁখির অস্ত্রোপচার করা ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে হাসপাতাল থেকে ১৫ জুন রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যদিও ঘটনাটির জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দুষছে ডা. সংযুক্তাকে। আর তিনি দোষারোপ করে আসছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network