ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এষ্টেটের ওয়াকফ সম্পত্তি জোড় পূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল সদর উপজেলার সায়েস্তবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আরিফুজ্জামান মুন্না’র বিরুদ্ধে। গত মাসের ১৫ তারিখে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সায়েস্তাবাদ বাজার সংলগ্ন এষ্টেটের ওয়াকফ সম্পত্তি জোড় পূর্বক বেআইনি ভাবে সিমানা পিলার উঠিয়ে বালু দিয়ে ভড়াট করে। ভরাটকৃত জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করে মুন্না চেয়ারম্যান ও সাঙ্গপাঙ্গরা। এষ্টেটের ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষন বেক্ষন চুক্তিপত্র গ্রহণকারীগণ এতে বাধা প্রদান করিলে হত্যা, গুমের হুমকি প্রদান করে কাজ অব্যাহত রাখে মুন্না বাহিনী। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরীর একটি অভিজাত রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সায়েস্তাবাদ ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন মাসুম তালুকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ ও বাজার কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান আকন সহ এলাকাবাসী। এবিষয়ে এর আগেও বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা। লিখিত বক্তব্যে আকবর আলী আরো বলেন, আমি পড়ে জানতে পারি উক্ত জমিতে সায়েস্তাবাদ বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন করে এলজিইডি। এলজিইডি ও জেলা প্রশাসনকে উক্ত কাজ বন্ধ রাখার জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। নোটিশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে উক্ত কাজ বন্ধ করে দেয় এলজিইডি। আইনকে তোয়াক্কা না করে দোকান ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখেন মুন্না চেয়ারম্যান। নির্মার্ণাধীন দোকান বরাদ্দ দেয়ার জন্য ৪লক্ষ টাকা ধার্য্য করেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ তারিখে দক্ষিণ রামকাঠি এলাকার আ: রব গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম গাজী সহ একাধীক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধীক টাকা গ্রহন করেন তিনি। জমি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে মুন্না চেয়ারম্যানের কাছে দোকান বরাদ্দের জন্য অগ্রীম দেয়া ২লক্ষ টাকা ফেরত চায় শহিদুল ইসলাম। টাকা ফেরত চাওয়ায় শহিদুল ইসলামকে মারধর সহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে মুন্না চেয়ারম্যান ও সাঙ্গপাঙ্গরা। বরিশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এমপি কেস নং ৬৭/২০২০ (কাউনিয়া) মামলা দায়ের করেন শহিদুল ইসলাম। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মুন্না বলেন,‘আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ আছে যদি কোন অন্যায় করি তা তারা বিচার করবে।’ মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন ,‘ আকবর আলী আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে তা খারিজ করে দিয়েছে। শহিদুল ইসলাম নামে কোন ব্যক্তির সাথে আমার পরিচয় নেই ও তার দায়েরকৃত মামলা সম্পর্কেও আমার জানা নেই।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network