ঢাকা ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। শূন্যপাস এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টিই মাদরাসা। বাকি সাতটি স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনেও রয়েছে দুইটি স্কুল।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে শূন্যপাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সে অনুযায়ী অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দফা শোকজ করা হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে মাউশি ও মাদরাসা অধিদপ্তর।
মাদরাসা অধিদপ্তর ও মাউশি সূত্রে জানা গেছে, এমপিও নীতিমালা অনুসারে- মফস্বল শহরের দাখিল মাদরাসার ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত হতে ১৮ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর মফস্বল এলাকার মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ২৫ জন পরীক্ষার্থী ও ৫৫ শতাংশ পাসের হার বাধ্যতামূলক।
প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বাজায় রাখতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত হবে। সে অনুযায়ী শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও স্থগিত বা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা স্থগিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই অধিদপ্তর।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বলেন, দাখিলে শূন্যপাস প্রতিষ্ঠানের সবগুলো এমপিওভুক্ত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তাদের শোকজ করা হবে। জবাব পেলে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, শূন্যপাস করা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সারাদেশ থেকে সংগ্রহ শুরু করেছি। সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৮ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শূন্যপাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি। অন্যদিকে এ বছর ২ হাজার ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০২২ সালে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭৫টি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network