এক কবুতরের দাম ১৬ কোটি টাকার বেশি

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২০

এক কবুতরের দাম ১৬ কোটি টাকার বেশি

কবুতরের দাম আর কতই বা হতে পারে। কয়েক লাখ টাকা। কিন্তু নিলামে কেনা এক কবুতরের দাম শুনলে বিশ্বাস না-ও হতে পারে। কারণ, দুই বছর বয়সী এক কবুতর বিক্রি হয়েছে ১৯ লাখ ডলারে। আর বেলজিয়ামের নিলামে সবাইকে পেছনে ফেলে ওই কবুতর কিনেছেন চীনের একজন ধনবান ব্যক্তি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কবুতরটির নাম নিউ কিম। দুই বছর বয়সী স্ত্রী কবুতরটিকে সম্প্রতি বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়েছিল। রোববার অনুষ্ঠিত নিলামে ১৯ লাখ ডলারে ( প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরলে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা) কবুতরটি কিনে নিয়েছেন চীনের একজন ধনকুবের।

নিউ কিম অবশ্য কোনো সাধারণ কবুতর নয়, একটি বিশেষ প্রজাতির কবুতর। এর পরিচয় ‘রেসিং পিজিয়ন’ হিসেবে। নিলামে বিক্রি হওয়ার পর এটি ছিল রেসিং কবুতর বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন একটি রেকর্ড। বিশেষ প্রজাতির এই কবুতরের কাজ হলো ওড়াউড়ির প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। সাধারণত কবুতরগুলোকে ১০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের কোনো স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। সবচেয়ে আগে উড়ে যে বাড়ি পৌঁছাতে পারবে, সেই কবুতর বিজয়ী হয়। আর এই প্রতিযোগিতায় জয়ী মালিক পান মোটা অঙ্কের অর্থ।

নিলাম হাউস পিপার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস গাইজেলব্র্যাচ্ট রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই রেকর্ড দামে কবুতর বিক্রি আসলে অবিশ্বাস্য। কারণ এই কবুতরটি নারী। সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীর কবুতরের বেশি মূল্য হয়ে থাকে। কারণ এরা সন্তানের জন্ম দিতে পারে।’

এর আগে চার বছর বয়সী একটি কবুতর সোয়া ১২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

কবুতরের এই প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ বিজয়ী আর্মান্ডো, যাকে পরে ফর্মুলা ওয়ান রেস চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিলটনের নামে নামকরণ করা হয়। নিউ কিমও ২০১৮ সাল থেকে বেশ কটি প্রতিযোগিতায় জিতেছে এবং এরপর সে অবসরে আছে। অবসরজীবনে বেশ কিছু ছানার জন্ম দিয়েছে কবুতরটি।

নিউ কিমের মালিক একটি বেলজিয়ান পরিবার, এই বিপুল পরিমাণ অর্থে কবুতরটি বিক্রি হওয়ায় রীতিমতো বিস্মিত। চীনের যে ধনাঢ্য ব্যক্তি কবুতরটি কিনেছেন তাঁর শখ হলো রেসিং পিজন সংগ্রহ করা। চীনে সম্প্রতি পিজন রেসিং অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

নিউ কিম স্ত্রী কবুতর হওয়ায় তার দাম এত বেশি হয়েছে। কারণ তাকে এই প্রজাতির কবুতর প্রজননে কাজে লাগানো যায়। নিলামে বিজয়ী চীনের নাগরিক নিউ কিমকে এই প্রতিযোগী প্রজাতির কবুতর প্রজননে কাজে লাগাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন