ব‌রিশা‌লে আনসারের গুলিতে চোখ হারানো দুই আ.লীগ নেতার জামিন

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১

ব‌রিশা‌লে আনসারের গুলিতে চোখ হারানো  দুই আ.লীগ নেতার জামিন

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার সামনে আনসার সদস্যদের গুলিতে চোখ হারানো আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ দুজন পু‌লিশ হেফাজ‌তে চি‌কিৎসাধীন ছি‌লেন। গতকাল আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার দুপুরেএ‌দের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বরিশালের  অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুদ বিল্লাহ।  আদালত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসুদ বাবলুর জিম্মায় ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।  এ দুজ‌নের জা‌মি‌নের প্রেক্ষি‌তে দুই মামলায় গ্রেফতার হওয়া সকল আসামীর জা‌মিন হল।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভির আহসান। 

আ‌্যাড, তালুকদার মোঃ ইউনুচ জানানএই জামিনের মাধ্যমে সমঝোতার শতভাগ অগ্রগতি হচ্ছে । সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে দুটি মামলা করা হয়েছে তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কাছে তদন্তাধীন আছে।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর ১২ নেতাকর্মীর জামিন দেন আদালত। তার আগে ২৫ আগস্ট ওই দুই মামলায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে জামিন দেওয়া হয়।

সব মিলিয়ে ইউএনও এবং পুলিশের মামলায় আওয়ামী লীগের গ্রেফতারকৃত ২৩ নেতাকর্মী জামিন পেলেন। তাদের মধ্যে ২১ জনকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর চো‌খে গু‌লি‌বিদ্ধ অবস্থায় ম‌নিরুল ও তান‌ভির‌কে পু‌লিশ হাসপাতাল থে‌কে আটক ক‌রে। পরব‌র্তিতে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পু‌লিশ হেফাজ‌তে তা‌দের চি‌কিৎসা চ‌লে।

উ‌ল্লেখ‌্য গত ১৮ আগস্ট ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার অভিযোগে সিটি করপোরেশন ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন ইউএনওর নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যরা।

ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।
অপর‌দি‌কে ২২ আগস্ট ইউএনও এবং কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। আদালত পিবিআইকে ওই মামলার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

সংবাদটি শেয়ার করুন