ঢাকা ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৫

আগামী ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এই দিনকে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বিকালে গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিন বা তারিখ না বললেও নভেম্বর মাসে ফিরবেনÑ এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আপনারা খুব শিগগিরই জানতে পারবেন নির্ধারিত তারিখ। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে গুলশানের ৭৯ নম্বর ও ১৯৬ নম্বর দুই বাসা মিলিয়ে থাকবেন। তার নিরাপত্তা ইস্যুকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ চলছে।
গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি মহাসচিব ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলে আসছেন খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। এই অবস্থায় সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল তারেক রহমানের আসার বিষয়ে তথ্য দিলেন। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আগামী ২৩ নভেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন ধার্য করা হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আগেই দলীয় একক প্রার্থী এবং মিত্ররাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ৩শ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে চলতি মাসে ২শ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের অনেককেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। ধারণা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির এই বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের দেশের ফেরার আগে তার নিরাপত্তা ইস্যুটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে সরকার – এমন নিশ্চয়তা পেয়েছে বিএনপি। তার নিরাপত্তার স্বার্থে বুলেটপ্রুফ এসইউভি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে দুটি গাড়ি অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি হচ্ছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক। এই প্রতীককে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমরা তা করব।’
দেশে ফেরার পর তারেক রহমান গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা ও ১৯৬ নম্বর বাসা মিলিয়ে থাকবেন। ফিরোজায় আছেন মা বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ১৯৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন। এই বাড়ির সংস্কারকাজ চলছে।


প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network