বরগুনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত নিহত

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৫

বরগুনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত নিহত

বরগুনার বামনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টের পেয়ে গ্রামবাসী ডাকাত দলকে ধাওয়া দেয়। তখন ডাকাত দল ও গ্রামবাসীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামে।

রোববার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ওই ডাকাত মারা যান। নিহত ওই ডাকাতের নাম মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) ওরফে রিপন। তিনি পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের লক্ষনা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাস্টারের বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। এ সময় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে একাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সুমন জোমাদ্দার নামে একজনের লাইসেন্সকৃত বন্দুক থাকায় তিনিও পাল্টা গুলি চালান। এ সময় এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হন এবং বাকিরা পালিয়ে যান।

পরে ঘটনাটি বামনা থানায় জানালে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে আজ বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও লাইসেন্সকৃত বন্দুকের মালিক সুমন জমাদ্দার বলেন, ‘আফজাল মাস্টার আমাকে ডাকাতের বিষয়টি জানালে আমি বন্দুক নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অনেক গ্রামবাসী জড়ো হন। আমি সবাইকে নিয়ে যখন বাড়ির মধ্যে ঢুকতে যাই তখন আমাদের লক্ষ্য করে ডাকাতেরা গুলি করে। পরে আমিও পাঁচ রাউন্ড গুলি চালাই। তখন ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। একটু সামনে গিয়ে দেখি একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। তবে আমার গুলিতে সে মারা গেছে কি না বলতে পারব না। যেহেতু ডাকাতেরাও গুলি করেছে, তাদের গুলিতেও নিহত হতে পারে।’

এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ডাকাত আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত ডাকাত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করার সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি গুলিসহ চারটি মোবাইল পাওয়া গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

তবে কার গুলিতে ডাকাত নিহত হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কার গুলিতে তিনি নিহত হন, তা ময়নাতদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন