বাবুগঞ্জ মুলাদীর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৫

বাবুগঞ্জ মুলাদীর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশাল -৩( বাবুগঞ্জ -মুলাদী) আসনের দুই উপজেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি সম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কে লিখিত দুটি স্মারকলিপি দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি)পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সোসাইটির উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর কার্যালেয় এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বরিশাল সোসাইটির উপদেষ্টা ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সোসাইটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান নোমান, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মোঃ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, এ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, এবি পার্টির বরিশাল জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ সুজন, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জিএম রাব্বি।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোরবানীর ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে সরজমিনে দেখলাম বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা/সন্ধ্যা নদীর লঞ্চঘাট এলাকা, বরিশাল বিমান বন্দরের নিকটবর্তী এলাকা, কেদারপুর ইউনিয়ন এবং মূলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীর দুপাশের গ্রামগুলো কিভাবে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই হাজার হাজার গ্রামবাসীর দাবীকে রাজধানীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পৌঁছে দেবার ওয়াদা করেছিলাম।

তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে লিখিত দুটো স্মারকলিপি দিলাম অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার জন্য। তিনি মনযোগ দিয়ে কষ্টের কথাগুলো শুনেছেন। এমনকি উক্ত এলাকাশ নিজ চোখে দেখতে যাবেন বলে ওয়াদা দিয়েছেন।
এলাকাবাসী মনে করছেন যে ৬-৭ কিলোমিটার এলাকাতে কনক্রীটের ব্লক ফেলতে পারলে জীবন, রুটি-রুজি রক্ষা পাবে।
এছাড়াও ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, নদীর পাড় ভেঙে যখন গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে যায়, তখন শুধু মাটি পানিতে মিশে যায় না বরং হাজার হাজার নাগরিকের জীবনের একাংশ পর্যন্ত নদীগর্ভে হারিয়ে যায়। আমাদের শত শত নদীর গতিপথ এবং স্রোতধারার ব্যাকরণ বিবেচনাতে না নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলে নদী শাসন করবার প্রকল্প ও উদ্যোগ খুব ভাল ফল দেয়নি। তাই আমরা মনে করি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর কাছে থাকা নদী সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তের সাহায্য নিয়ে নদী উন্নয়ন বোর্ড/অধিদপ্তরের আশু উদ্যোগ নেয়া দরকার। পাশপাশি পরিবেশ ও নদী বিষয়ক সংগঠন এবং এলাকাবাসীর সাথেও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয় নিয়ে কথা বলা দরকার।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন