ঢাকা ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
চমক জাগিয়ে সাকিব আল হাসান ওপেনিংয়ে নামলেও তার ব্যাটে রানখরা কাটেনি। তারকাবহুল জেমকন খুলনার ব্যাটিংয়ের দুরাবস্থারও মনে হয় শেষ নেই। মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলামদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নাভিশ্বাস উঠল সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়দের। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৭.৫ ওভারে ৮৬ রানে অলআউট হয়েছে জেমকন খুলনা। ভয়ংকর মুস্তাফিজ নিয়েছেন ৫ রানে ৪ উইকেট। এই স্বল্প রানের লক্ষ ৩৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে টপকে যায় চট্টগ্রাম। নিজেদের আগের ম্যাচেও বেক্সিমকো ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল মিঠুনের দল।
খুলনার ইনিংসে ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিলেন মোস্তাফিজ। চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন মোস্তাফিজকে আজ বুদ্ধি খরচ করে ব্যবহার করেছেন। জাতীয় দলের এই পেসারের বাকি ৩ ওভার ব্যবহার করেছেন খুলনার ইনিংসে শেষ ১০ ওভারের মধ্যে। ১৪তম ওভারে শামীম হোসেনকে তুলে নিয়ে শিকারের শুরু করেন জাতীয় দলের পেসার। ওই ওভারে ১ রানে নেন ১ উইকেট। পরের ওভারেও ২ রানে আরও ১ উইকেট নিয়ে খুলনার ব্যাটিংয়ের ‘লেজ’ মোড়ানো শুরু করেন তিনি। এরপর ১৮তম ওভারে এসে খুলনার শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন ৫ বলের মধ্যে। ওই ওভারে কোনো রান দেননি।
মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ৩.৫-০-৫-৪। কত দিন পর এমন বোলিং ফিগার তাঁর নামের পাশে দেখা গেল, সেটি গবেষণার বিষয়। তবে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজই সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৪ উইকেটের দেখা পেলেন এ সংস্করণে। খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১ রান এসেছে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। সাকিব আল হাসান আজ ব্যাটিংয়ে নামার পজিশন পাল্টেও সুবিধা করতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে ৭ বল খেলে আউট হয়েছেন ৩ রানে। তবে এর মধ্য দিয়েই একটি নজির গড়লেন তিনি।
তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৫ হাজার রানের কোটা ছুঁয়েছেন সাকিব। ডোয়াইন ব্রাভো ও আন্দ্রে রাসেলের পর তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ৫ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। ৩ রানের ইনিংস দিয়েই ৫ হাজার রানের কোটা ছুঁয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ৩৫৫।
খুলনার ভীষণ সাদামাটা স্কোর তাড়া করতে নেমে রঙিন ব্যাটিং করছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। উইকেটের চারপাশেই স্ট্রোক খেলেছেন লিটন। সৌম্য সে তুলনায় টাইমিংয়ের সমস্যায় একটু ভুগেছেন। ২৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন তিনি। ৪৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। ৯টি চার মারেন তিনি। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচে বল হাতে ঝলসে উঠলেন ‘কাটার মাস্টার’। এই নিয়ে নিজেদের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে একশর নিচে আটকে ফেলল চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে তারা ৮৮ রানে শেষ করে দিয়েছিল। খুলনার দুর্দশার শুরু প্রথম ওভার থেকেই। রান নেওয়ার চেষ্টায় বিজয় আর সাকিব চলে যান এক প্রান্তে। মোহাম্মদ মিঠুনের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন বিজয়।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network