হিজলায় আ’লীগের ৫শ’ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০

হিজলায় আ’লীগের ৫শ’ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা

বরিশালের হিজলায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫শ’ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকর্মী। ওসি জানিয়েছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ এবং সাড়ে ৪শ’ জনকে অজ্ঞাত করে মামলাটি করেছেন থানার এসআই ফারুক খান। ১৫ ডিসেম্বর রাতে পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় আওয়ামী লীগের উভয়পক্ষকেই আসামি করেছে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লোকমান সিকদার, কাজল হোসেন রাঢ়ী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বড়জালিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি বশির আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা জিদান হাওলাদার, যুবলীগ নেতা নিজাম সরদার প্রমুখ।

১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ছেলে নাঈমের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে খুন্না বন্দর থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। খুন্না গোবিন্দপুর এলাকা অতিক্রমের সময় বিরোধী গ্রুপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভির ও তার দলবল তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে শান্ত ও নাইম আহত হন। পরে পুলিশ এসে তাদের হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পাশাপাশি তাদের মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপরই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জড়ো হতে শুরু করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাল্টা জড়ো হয় টিপু গ্রুপের লোকজনও। উভয় গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপরও রাত সোয়া ১০টায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক, চার পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। ভাংচুর করা হয় ৫টি মোটরসাইকেল। আহত পুলিশ সদস্যদের দু’জনকে হিজলা এবং একজনকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন