ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার দুই বছর পর আদালতের এক আদেশে আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ হারিয়েছেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান।
ফোরকানের ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে আজ এ আদেশ দেন আদালত।
একই সাথে আদালত এ মামলার বাদী ও গোলাম সরোয়ার ফোরকানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দিন আহমেদ ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশের নির্দেশও দেন।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ আমতলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে-আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়াও নিজের মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্স’র নামেও এক বছর মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে।
যথাসময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।
পরে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোরকানের ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। পরে আদালত সকল তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফোরকানকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করে আদেশ দেন।
এ বিষয়ে শামসুদ্দিন আহমেদ ছজুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, গোলাম সরোয়ার ফোরকান ২০১৩ সালে তার নিজ নামে এবং তার মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সের নামে এক বছর মেয়াদে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঋণ তোলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তার ঋণের অনুকূলে শতভাগ সুদ মওকুফের জন্য রূপালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর এক বছরের মধ্যে প্রদানের জন্য ৮০ ভাগ সুদ মওকুফ করেন। এ টাকাও তিনি যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
আইনজীবী আরও বলেন, গোলাম সরোয়ার তার ঋণ খেলাপির এসব তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। পরে আমার মক্কেল নিজেকে বিজয়ী দাবি করে ফোরকানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত আজ এ রায় দেন।
এ বিষয়ে জানতে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিকেল পাঁচটার পরে কথা বলবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোনো কাগজ এসে পৌঁছায়নি। পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network