বরিশালে শুরু হচ্ছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২১

বরিশালে শুরু হচ্ছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

করোনাভাইরাস শনাক্তে বরিশালে শুরু হচ্ছে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা। এ জন্য আগামী সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বরিশাল জেলার জন্য ৪ হাজার ৫০০ কিট পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে কম সময়ে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এর আগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষাগারে এক দিন পর করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যেত। তবে অ্যান্টিজেন দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ফল জানা যাবে।

এখন বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হলে করোনা উপসর্গ থাকা আরও বেশি ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। বিশেষ করে বিদেশগামী যাত্রীরা উপকৃত হবেন। তারা দ্রুত ও সহজে রিপোর্ট পাবেন।

সিভিল সার্জন বলেন, আগামী সপ্তাহে অ্যান্টিজেনভিত্তিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।

ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় করোনায় সংক্রমিত চারজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় চার হাজার ৯৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে চার হাজার ৮১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। আর ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত ৭ মার্চ করোনা শনাক্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে করোনায় সংক্রমিত নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪০ জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন ৩৬ জন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রধান ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম আকবর কবীর জানান, বরিশাল জেলা ছাড়াও বিভাগের ৫ জেলা থেকে করোনার উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাশি) থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২২০ নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে। আর আরটি-পিসিআর যন্ত্রের প্রতিদিন ১৮৮ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। ফলে একদিনে সব নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছিল না। এছাড়া মাঝে মধ্যে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতো। মেরামতে সময় লাগতো। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তেন বিদেশগামী যাত্রীরা । তবে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হলে আশা করছি আরটি-পিসিআর ল্যাবের ওপর কিছুটা হলেও চাপ কমবে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়বে। অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে বিদেশগামী যাত্রীরা দ্রুত ও সহজে রিপোর্ট পাবেন। ফলে রিপোর্টের জন্য তাদের আর অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না। জাগো নিউজ

সংবাদটি শেয়ার করুন