পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা: শাহ্ মোজাহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা: শাহ্ মোজাহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

পটুয়াখালী সাবেক সিভিল সার্জন ডা: শাহ মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের কৃত মামলার অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে পটুয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোখসানা পারভীন গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করেছেন।বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ উত্তোলন পূর্বক অর্থের কাজ না করে ভূয়া, জাল ভাউচার ব্যবহার করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ দুদকের দায়ের কৃত মামলার অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।

আজ রোববার মামলা আমলের গ্রহণের তারিখ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোখসানা পারভীন মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আসামি ডা: শাহ মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ জারি করেন।
অভিযোগপত্রে বিবরণে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: শাহ মোজাহিদুল ইসলাম জেলার দুমকি উপজেলার তৎকালীন টিএইচও ডাক্তার মোঃ শহীদুল আলম এম এস কোর্সের জন্য ছুটিতে থাকায় তিনি জেলার দুমকি উপজেলার অতিরিক্ত আয়ন-ব্যায়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। এ সময় ডা: শাহ মোজাহিদুল ইসলাম ২০১৭ -১৮ অর্থবছরে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জন্য কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ লাখ টাকা ভ্যাট ও আয়কর কর্তন পূর্বক ভূয়া, জাল ভাউচার ব্যবহার করে বরাদ্দকৃত ৩০ লাখ টাকার ২৬লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় ১৩ নভেম্বর ২০১৮ সালে পটুয়াখালী সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন পটুয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তদন্ত শেষে সত্যতা থাকায় ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৪৪ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার এর মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক আত্মসাতের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা: শাহ মোজাহিদুল ইসলাম বর্তমানে উপ পরিচালক হিসেবে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুরে কমর্রত আছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন