বরিশালের বাজারে ক্রেতাদের ভিড়

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২১

বরিশালের বাজারে ক্রেতাদের ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লকডাউনকে কেন্দ্র করে বরিশালের বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। লকডাউনে বাজারে মালামাল সংকটের আশঙ্কায় শনিবার রাতেই বাজারমুখী হয় ক্রেতারা। রবিবার মুদী বাজার ও কাঁচাবাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কে কার আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য কিনবেনর এমন প্রতিযোগীতা চলছে বাজারে। টিসিবির পন্য কিনতে সন্ধ্যার দিকেও ছিল লম্বা লাইন। তবে মূল্য বৃদ্ধির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বাজারে পন্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কোন ধরনের গুজবে কান না দিয়ে অতিরিক্ত পন্য কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
শনিবার লকডাউনের সরকারি ঘোষনা জানানোর পর বাজারে হুমড়ী খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। একে তো রমজান আসন্ন, তার উপর আবার সোমবার থেকে লকডাউন। তাই সামনে কি পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে তা নিয়ে সন্দিহান ক্রেতারা। তাই আর দেরি না করে মুদি ও কাঁচা বাজার থেকে যে যা পারছেন কিনছেন। প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পন্য কিনছেন অনেকে। এ কারনে বাজারে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে বাজারে কোন নিত্য পন্যের ঘাটতি নেই বলে দাবি নগরীর পিয়াজপট্টির আড়তদার এনায়েত হোসেনের। ক্রেতারা হুজুগে অতিরিক্ত কেনাকাটা করছেন বলে দাবি ফরিয়াপট্টির মুদি দোকানি মো. রুবেলের। তবে ক্রেতা মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, লক ডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের সংকট সৃষ্টি হবে। তাই কিছু পন্য কিনে রাখা আরকি। এদিকে বাজারে হুজুগে অতিরিক্ত কেনাকাটা এবং ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় ঠেকাতে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার দুপুরে নগরীর বাজার রোড, ফরিয়াপট্টি ও পিঁয়াজপট্টিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা বলেন, লকডাউনকে কেন্দ্র করে বাজারে অতিরিক্ত ভীর এবং অতিরিক্ত কেনাকাটা লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে কোন পন্যের সংকট নেই। যথেষ্ট পন্য মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসন ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটা না করার অনুরোধ করছে। একই সাথে বাজারে শারীরিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

সংবাদটি শেয়ার করুন