রাতে ফুচকা খেতে গিয়ে শিশু নিখোঁজ, সকালে লাশ মিলল খালে

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২১

রাতে ফুচকা খেতে গিয়ে শিশু নিখোঁজ, সকালে লাশ মিলল খালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১০ বছরের সবুজ মন্ডল। রাতে বাবার কাছ থেকে ১০টা নিয়ে ফুচকা খেতে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। থানায় অভিযোগও করা হয়। তবেস্বজনদের দাবি পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। পরদিন ( শুক্রবার) দুপুরে তার লাশ মেলে কবাড়ির পার্শ্ববর্তি খালে। পুলিশ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও স্বজনেরা দাবি করেছে, কেউ তাকে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে লাশ খালে ফেলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে খবর আসে আমানতগঞ্জ খালে এক শিশুর মরদেহ ভাসছে। পরবর্তীতে স্বজনেরা এসে সবুজ মন্ডলের মরদেহ শনাক্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের ৬ নম্বর ওয়াড হাটখোলা শিশুপার্ক কলোনির ময়লাখোলা সাদেমের ঘাট এলাকার বাসিন্দা লিটন মন্ডলের ছেলে সবুজ মন্ডল। বৃহস্পতিবার রাত ৯টারদিকে বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে ফুচকা খেতে বের হয়ে যায়। এর পরে সে আর ফিরে আসেনি এবং স্বজনেরাও অনেক খোঁজা-খুঁজি করে তাকে পায় আর পায়নি।
পরিজনদের অভিযোগ, শিশু নিখোঁজের এই ঘটনাটি রাতেই কোতয়ালি মডেল থানায় অবহিত করা হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং বলা হয়, ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে।

এদিকে ছেলের ঠাকুমা অভিযোগ করেন, তার নাতীকে মোবাইল চুরির অপবাদে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি কিছুদিন পূর্বে মারধর করে। সেই সময় তারা তাকে পরবর্তীতে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। ঠাকুমার ধারণা, সেই হুমকিদাতারাই তার নাতীকে হত্যা করেছে এবং লাশ খালে ফেলে দেয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের (ওসি/তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিশুকে হত্যা না কী স্বাভাবিক হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তারপরেও স্বজনদের অভিযোগের বিষয়টি মাথায় রাখাসহ প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে, জানান ওসি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন