ঢাকা ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২১
বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা ২২। এটা এই বিভাগে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। এর মধ্যে ১৯ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। বাকি তিনজন করোনা পজিটিভ।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১৯ জন ছিলেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে। এ ছাড়া করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যাওয়া ৩ জনের মধ্যে ২ জন বরগুনায় এবং ১ জন ঝালকাঠিতে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭৫ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের এই সংখ্যা ছিল ৭১০ জন। আর করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে এক দিনে ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম। এই হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে এখন রোগীদের ঠাঁই দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শয্যা ছাপিয়ে রোগীরা এখন ওয়ার্ডের মেঝেতে ঠাঁই নিচ্ছেন। একই সঙ্গে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ২২টি শয্যার সব কটিই মুমূর্ষু রোগীতে পূর্ণ। আরও অনেক রোগী আইসিইউর জন্য অপেক্ষমাণ। একই সঙ্গে অক্সিজেনের জন্য রোগীর স্বজনদের হাহাকার চলছে। এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা (৯ হাজার লিটারের) ছাড়াও হাসপাতালে ৩০০টি ১২ লিটার (প্রতিটি) ধারণক্ষমতার অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। গ্রাম ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে রোগী না পাঠিয়ে সরাসরি এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ২০০ থেকে ৩০০ শয্যা করেছি, কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাচ্ছে না।’
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৫৭৫ জনসহ বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ৬৮৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা দুঃসাধ্য হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network