লেবুখালী ফেরিঘাটে সিগারেট ধরানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২১

লেবুখালী ফেরিঘাটে সিগারেট ধরানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় এক দোকানিকে মারধরের জেরে দুই পক্ষের হামলা-মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম সাতজনকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ঢাকাফেরত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে লেবুখালী ফেরিঘাটে স্বাগত জানাতে জেলা শহর ও বাউফল থেকে বাদল, কোয়েল, মিঠু, সেলিমের নেতৃত্বে দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ফেরিঘাটে অবস্থান নেয়। সমবেত কর্মী-সমর্থকরা বিচ্ছিন্নভাবে ঘাটে অবস্থানকালে বিভিন্ন দোকানপাটে চা-সিগারেট পান ও জটলা করছিল। ওই সময় বাদল নামের এক যুবকের সিগারেট ধরানো নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও মুদি দোকানি সোহরাব প্যাদাকে মারধর করা হলে পাশের দোকানদার ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রমোশনাল খবর

আহত দোকানি সোহরাব প্যাদার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থকরা চাকু-চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে, পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের জখম করেছে। এতে মুদি দোকানি সোহরাব প্যাদা (৬৫), মো. সাবু (২৫), বজলু প্যাদা (৪৫), রাজিব (২২), বাহার খাঁ (৩০), মোহন শরীফ (২০), আল-আমীনসহ (৩০) উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম বজলু প্যাদাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।

দুমকি থানার এসআই সিদ্দিক জানান, লেবুখালী ফেরিঘাটে দুই পক্ষের হামলা-সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরিঘাটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন