ঢাকা ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২১
পটুয়াখালীর লেবুখালী ফেরিঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় এক দোকানিকে মারধরের জেরে দুই পক্ষের হামলা-মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম সাতজনকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ঢাকাফেরত পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে লেবুখালী ফেরিঘাটে স্বাগত জানাতে জেলা শহর ও বাউফল থেকে বাদল, কোয়েল, মিঠু, সেলিমের নেতৃত্বে দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ফেরিঘাটে অবস্থান নেয়। সমবেত কর্মী-সমর্থকরা বিচ্ছিন্নভাবে ঘাটে অবস্থানকালে বিভিন্ন দোকানপাটে চা-সিগারেট পান ও জটলা করছিল। ওই সময় বাদল নামের এক যুবকের সিগারেট ধরানো নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও মুদি দোকানি সোহরাব প্যাদাকে মারধর করা হলে পাশের দোকানদার ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রমোশনাল খবর
আহত দোকানি সোহরাব প্যাদার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থকরা চাকু-চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে, পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের জখম করেছে। এতে মুদি দোকানি সোহরাব প্যাদা (৬৫), মো. সাবু (২৫), বজলু প্যাদা (৪৫), রাজিব (২২), বাহার খাঁ (৩০), মোহন শরীফ (২০), আল-আমীনসহ (৩০) উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম বজলু প্যাদাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
দুমকি থানার এসআই সিদ্দিক জানান, লেবুখালী ফেরিঘাটে দুই পক্ষের হামলা-সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেরিঘাটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network