ঢাকা ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২১
বরিশালের নবগ্রাম রোডে হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চন্দন সরকার (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের চতুর্থ তলার মেঝ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
চন্দন সরকার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইকা এলাকার চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।
কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের মামা নিবাস মহুরী বলেন, আমার ভাগনে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসতে চায়নি। সে বলেছিল, এসব কেন্দ্রে অনেক টর্চার করা হয়। আমরা তার কথা শুনিনি। আগস্ট মাসের ৭ তারিখ হলি কেয়ারে দিয়ে গিয়েছি। তখন কোমরের বেল্টটি পর্যন্ত রাখতে দেয়নি। রশি বা গামছা তো দূরের কথা।
তাহলে হত্যায় গামছা পেল কীভাবে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ভোররাতে হলি কেয়ার থেকে মোবাইলে আমাকে জানানো হয় চন্দন আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না। আমার ভাগনেকে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এখানে এসে তো লাশও দেখছি না। আত্মহত্যা করলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করবে। কিন্তু এখানে লাশ উদ্ধার পুলিশ করেনি, হলি কেয়ারের লোকজনই বাথরুম থেকে লাশ ফ্লোরে এনে রেখেছে। এটি হত্যাকাণ্ড। আমি এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক তমাল দাবি করেন, হলি কেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে মোট ২৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। এর মধ্যে একজন ‘এক্সিডেন্টে’ মারা গেছে। এখন ২৭ জন রয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। বিস্তারিত তারাই বলতে পারবেন।
হলি কেয়ারের চতুর্থ তলার দায়িত্বে থাকা সরোয়ার বলেন, রাত সোয়া ৩টার দিকে আমাকে ডেকে তোলা হয়, একজন টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে বলে। উঠে দেখি চন্দন সরকার গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নামিয়ে মেঝেতে এনে রাখি।
বাথরুমের উচ্চতায় কেউ আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার বলেন, তা বলতে পারব না, তবে লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করেছি।
এদিকে ভর্তি অন্যান্য রোগীরা জানান, ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা সরোয়ার কথায় কথায় রোগীকে মারধর করেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে চন্দন সরকারকে মারধর করা হয়। শেষ রাতে জানানো হয়, তিনি মারা গেছেন।
অভিযুক্ত সরোয়ার এ বিষয়ে বলেন, গতকাল রাতে চন্দন সরকার পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শুলে আরেক রোগী তারিকুল তা নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন তারিকুলকে ঘুষি মারেন। এ সময়ে চন্দনকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে কয়েকটি ‘থাপ্পড়’ দিয়েছি। কিন্তু তাকে কোনো নির্যাতন করিনি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network