আমতলীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

আমতলীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

বরগুনার আমতলীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকার ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কলাগাছিয়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য মো. আবু জাফর মৃধাকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শুরু থেকেই নানাবিধ অনিয়ম করে ওই ডিলার। ওজনে কম দেয়া, নানা অযুহাতে উৎকোচের বিনিময়ে উপকারভোগীর নাম পরিবর্তন করা, গোডাউন থেকে চাল আনা পরিবহন খরচ বাবদ জনপ্রতি ২০ টাকা করে আদায়। সর্বশেষ চাল বিতরণীর সূলভ কার্ড (নতুন বই) করার জন্য উপকারভাগীদের কাছ থেকে নগদ ২শ’, ৩শ’ ও ৫শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। যারা এ টাকা দিতে অস্বীকার করে তাদের চাল না দিয়ে বলা হচ্ছে তালিকায় তোমাদের নাম নেই। উপকারভোগীরা কেন নাম নেই জানতে চাইলে তার কোনো সদুত্তর তিনি দেননি।

আবার অনেক উপকারভোগীদের পূর্বে চাল দেয়া হলেও এখন দিচ্ছে না। অপরদিকে অনেক উপকারভোগীর কার্ড গোপনে রেখে তাদের চাল দিচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কাওসার হোসেনের কাছে ডিলার জাফর মৃধার অনিয়মের প্রতিকার ও বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ডিলার জাফর মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো উপকারভোগীদের কাছ থেকে সূলভ কার্ড (নতুন বই) করার জন্য কোনো টাকা পয়সা নেইনি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সমীর কুমার রায় বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলারদের মৌখিকভাবে বলেছি ঢাকা থেকে সূলভ কার্ড (নতুন বই) আনার জন্য কিছু খরচ দেয়ার জন্য। কিন্তু উপকারভোগীদের কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নিতে বলিনি।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে কলাগাছিয়া এলাকার ডিলারের অনিয়মের বিষয়ে একাধিক উপকারভোগী মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। সত্যতা প্রমাণিত হলে তার ডিলারশিপ বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চাল বিক্রিতে কোনো অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন