ঢাকা ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২১
বরগুনায় চুরির অপবাদে তুলে শাওন (১১) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদশা নামের এক দোকানি তাকে মারধর করেছে। গতকাল রোববার বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার কলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু শিক্ষার্থী শাওন বরগুনা সদর ইউনিয়নের পার্বতী গ্রামের শামীম হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেলে শাওন পাশের গ্রাম কলাতলায় ঘুরতে গিয়ে বাদশা মল্লিকের মুদি দোকানের সামনে বসে। ওই সময় দোকানদার বাদশা দোকানের মধ্য ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে জেগে শাওনকে দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখে টাকা ও খাবার চুরির অভিযোগে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তখন শাওন বার বার ডাক-চিৎকার করে তার কি দোষ ও তাকে কেন মারা হচ্ছে জানতে চেয়ে কান্না করলেও থামেনি সেই দোকানী। বাদশা রাগে উত্তেজিত হয়ে শাওনকে স্টীলের টর্চ লাইট দিয়ে পিটায় এবং লাথি মেরে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় শিশু শাওন দোকানের সামনে পরে থাকলে শিশুটির পরিবার এসে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
শাওনের চাচা সারোয়ার হোসেন মিন্টু জানান, বিকেল ৫টার দিকে টিভি দেখতে বসে শাওন। একটু পরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বাইরে ঘুরতে বের হয়ে পাশের কলাতলা এলাকায় যায়। এ সময় মুদি দোকানদার বাদশা মল্লিকের দোকানে সামনে বসে শাওন। দোকানদার বাদশা ওই সময় দোকানে ঘুমে ছিল। দোকানদার বাদশা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে শাওনকে দোকানের সামনে বসা দেখে মারার জন্য তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এ সময় বাদশা স্টিলের লম্বা টর্চ লাইট দিয়ে শাওনকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায় শাওনের পেটে একাধিক লাথি মারে এবং গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে। এতে শাওন গুরুতর আহত হয়।
একটি ১১ বছরের শিশুকে কোনো ঘটনা ছাড়াই বা কিছু না জেনেই নিষ্ঠুর ও নির্মম ভাবে মারতে পারে সে কোন মানুষ হতে পারে না বলেও জানান তিনি। নির্যাতনকারী দোকানদার বাদশার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাদশা মল্লিকের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মারধরের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা অভিযোগ দিয়েছে। বাদশাকে আটক করার জন্য আপ্রান তৎপরতা চালানো হচ্ছে। কিন্তু বাদশা পালাতক রয়েছে।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network