লালমোহনে কুকুরের কামড়ে এক সপ্তাহে ১৫ জন হাসপাতালে

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২১

লালমোহনে কুকুরের কামড়ে এক সপ্তাহে ১৫ জন হাসপাতালে

ভাদ্র-আশ্বিন মাস সাধারণত কুকুরের প্রজনন মৌসুম। এসময়ে ভোলার লালমোহনে হঠাৎ করে বেড়েছে কুকুরের হিংস্রতা। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন রোগীরা।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত ১৫ জন রোগী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। যাদের বয়স দুই বছর থেকে ৭ বছরের মধ্যে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যের বাইরে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। অনেকেই আহত হয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নেন।
এদিকে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

তারা বলেন, হাসপাতালে আসলে কেবল প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া যায়। তবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনতে হয়। তাই এসব ওষুধ ও ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ রাখার দাবি এসব ভুক্তভোগীদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান জানান, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভোলায় প্রেরণ করা হয়। কারণ এ হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের কোনও ভ্যাকসিন নেই। তবে হাসপাতালে ভ্যাকসিন পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
ডা. মো. মহসিন খান আরও বলেন, সাধারণত বয়োজ্যেষ্ঠরা কুকুর দেখলে সচেতন থাকে বা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু শিশু-কিশোররা কুকুরের সাথে খেলা করতে গিয়েই কামড়ের শিকার হয়। তাই শিশু-কিশোরদেরকে কুকুরের সাথে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা উচিত পরিবারের লোকদেরকে। এজন্য পরিবারের লোকজনকে অধিক সচেতন হতে হবে।
লালমোহন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান উল্যাহ মানিক বলেন, কুকুরের প্রজনন মৌসুমে সকলকে সচেতন থাকা উচিত। পাশাপাশি বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে শনাক্ত করে বিষ নিধনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম রয়েছে তা চলমান রাখা উচিৎ। তাহলে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের শঙ্কা থাকবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন