ঢাকা ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২১
মাননীয় স্পীকার,
স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্যের শুরুতে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অমর শহীদদের। যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি একটি সার্বভৌম দেশ ও স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান ও লাল সবুজ পতাকা। আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চারনেতাকে যারা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকান্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সেদিন শাহাদত বরণ করেছিলেন তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব, তিনপুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল রোজি, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও মন্ত্রী আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আমার বোন আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, ভাই আরিফ সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, ভগ্নিপতি শেখ ফজলুল হক মণি এবং আমার ৪ বছরের শিশুপুত্র সুকান্তবাবু। আমি তাদের সবাইকে অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি এবং পরম করুনাময় আল্লাহ’র কাছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি গভীর দুঃখের সাথে স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের জনসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ করে পরিচালিত গ্রেনেড হামলায় শাহাদত বরণকারী নারীনেত্রী আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের। আমি আল্লাহ্’র কাছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আমি আরও স্মরণ করছি, আমার সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাহান আরা বেগমকে। যার সহযোগীতায় দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছি।
মাননীয় স্পীকার,
আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এক কোটি বাংলাদেশী শরনার্থীকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এছাড়া আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ভারতের ১৪ হাজার সেনা জোয়ানকে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মহুতী দিয়েছেন।
মাননীয় স্পীকার,
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। যিনি উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমরা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করতে সক্ষম হয়েছি। যা জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
মাননীয় স্পীকার,
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময়ে আমি দক্ষিণাঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। আমার মরহুম পিতা শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
মাননীয় স্পীকার,
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ তাদের প্রানের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের এ আত্মত্যাগ বাঙালি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু ৪,৬৮২ দিন অর্থাৎ জীবনের প্রায় ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের ঘোষণা করেন এবং ঐদিনই তাঁকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় কৃষক-শ্রমিক ছাত্র-জনতা যার যা কিছু ছিল তা নিয়েই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন ও দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ অর্জিত হয় বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়, সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন “স্বাধীনতা”। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পৃথিবীর মানচিত্রে “বাংলাদেশ” নামের একটি নতুন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের সেই ভাষণ আজ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে। যা ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে তাদের আর্কাইভে স্থান পেয়েছে।
মাননীয় স্পীকার,
বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কিংবদন্তি। আপোষহীন নেতৃত্ব, দৃঢ় মনোবল, আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির স¦াধীকার আন্দোলনের প্রধান নেতা। প্রতিটি বাঙালির কাছে তিনি পৌছে দিয়েছেন মুক্তির মূলমন্ত্র। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী।
মাননীয় স্পীকার,
আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ২৫ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। ১৭ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চলমান মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সম্মিলিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন বার্তা পাঠান এবং বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো কর্তৃক প্রবর্তিত “টঘঊঝঈঙ-ইধহমষধফবংয ইধহমধনধহফযঁ ঝযবরশয গঁলরনঁৎ জধযসধহ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চৎরুব ভড়ৎ ঃযব ঈৎবধঃরাব ঊপড়হড়সু” -এর আওতায় প্রথমবারের মতো উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে এ আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন জাতি হিসেবে আমাদের আরেকটি অসাধারণ প্রাপ্তি।
মাননীয় স্পীকার,
আমরা আজ স¦াধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের শেষ প্রান্তে। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাটছি, সে পথেই আমাদেরকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ বছর মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়া। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগনের সর্বাত্মক অংশ গ্রহনের মাধ্যমে আমরা একটি কল্যাণমূলক, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।
মাননীয় স্পীকার,
আপনি জানেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশ শাসনের নামে হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশে চাকুরী দিয়েছে। বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাভাই, শায়ক আবদুর রহমানসহ জঙ্গি তৎপরতার সৃষ্টি করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্ণেল ফারুক ও রশীদকে সংসদ সদস্য বানিয়ে সংসদকে অপবিত্র করেছে। যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদকে মন্ত্রী করে স্বাধীনতার পতাকাকে কলংকিত করেছে। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহ্’র রহমত এবং জনগণের দোয়ায় প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেন।
মাননীয় স্পীকার,
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারকার্য শুরু করেন। আদালতের রায় অনুযায়ী খুনিদের ফাঁসির আদেশ হয়। ইতিমধ্যে অনেক খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।
মাননীয় স্পীকার,
বিগত ১৩ বছরে ৩য় মেয়াদে আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি এওয়ার্ড, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, ইউনেস্কো কালচারাল ডাইভার্সিটি পদক, এফএও ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ কো-অপারেশন এ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ এসডিজি প্রগ্রেস এওয়ার্ড পেয়েছেন। ১৪ নভেম্বর ২০২১ আইসিটি বিষয়ে ‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সন এডওয়ার্ড’ পেয়েছেন।
মাননীয় স্পীকার,
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি জনগনকে ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, শ্রমিকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, ভারতের সাথে ৩০ বছরের জন্য গঙ্গার পানি চুক্তি করেছেন। সমুদ্র বিজয় করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করেছেন। ঢাকার যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার ও মেট্টোরেল উদ্ভোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ করেছেন। রূপপুর পরামানু বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মানকাজ সফলভাবে সমাপ্তির পথে। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। মায়ানমারের ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘মানবতার মা’ হিসেবে স¦ীকৃতি পেয়েছেন। তিনি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছেন। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জলবায়ু সম্মেলণে (কপ-২৬) লিডার সামিটে দেওয়া ভাষণে ৪টি দাবী পেশ করেছেন যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২,৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিশ্বনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মাননীয় স্পীকার,
আপনি জানেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে সমগ্র বিশ্ব আজ বিধ্বস্ত। বিশ্বের প্রায় ৫২ লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা ২০ জন সংসদ সদস্যসহ দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের হারিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে রয়েছেন।
মাননীয় স্পীকার,
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় আমার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পুর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে। ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। ৯টি ধারা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাননীয় স্পীকার,
দেশবাসীর কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২১ সালে এ দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করা, সেখানে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষ জনশক্তি আর উচ্চতর প্রবৃদ্ধি। প্রতিষ্ঠিত হবে অংশিদারিত্বমূলক গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায় বিচার। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এ দেশ পরিচিতি লাভ করবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।
মাননীয় স্পীকার,
আমাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network