ঢাকা ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২১
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা বিএনপির তিন নেতার ওপর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার গৌরনদী কাঁচাবাজার, পিংলাকাঠি বাজার ও টরকী বন্দরে পৃথক তিনটি হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান মিন্টু, নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জামাল ফকির ও উপজেলা বিএনপির নেতা মো. শাহাবুব শরীফ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত অবস্থায় বদিউজামানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জামাল ফকিরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বদিউজ্জামানের ভাষ্য, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে গৌরনদী কাঁচাবাজারের একটু সেলুনে তিনি বসে ছিলেন। এ সময় সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা তাঁকে জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শাহাবুব শরীফ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে তিনি টরকী বন্দরে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০ থেকে ১২ জন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করেন।
এদিকে জামাল ফকিরের অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি পিংলাকাঠি বাজারে পৌঁছানোর পর যুবলীগের কর্মী মো. মামুন ওরফে টাইগার মামুনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী তাঁকে মারধর করে আহত করে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমন মাহমুদ বলেন, ‘বদিউজ্জামানের ওপর হামলার ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে শুনেছি, এলাকার ছোট ভাইদের সঙ্গে বদিউজ্জামানের ঝামেলা আছে। এ ঘটনার জেরে জুনিয়ররা তাকে মারধর করেছে।’ এদিকে আরেক অভিযুক্ত মামুনও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিএনপি নেতাদের ওপর হঠাৎ এমন হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন মিয়া বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে তাঁদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালিয়ে এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network