ঝুঁকি পূর্ণ ভবনেই চলছে শিশুদের পাঠদান / যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংঙ্কা

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২২

ঝুঁকি পূর্ণ ভবনেই চলছে শিশুদের পাঠদান / যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংঙ্কা

দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকি পূর্ণ ভবনেই চলছে শিশুদের পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম। উপজেলার প্রবেশ মুখেই বিদ্যালয়টির অবস্থান। অতি প্রচীন এ বিদ্যালয়টি ১৯২০ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্র উপজেলায় সুনামের সহিত প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিদ্যালয়টির অবস্থান উপজেলা সদরে হওয়ায় প্রতিবছর এ বিদ্যালয় মাঠে বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষা মেলা, বই উৎসব সহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান গুলো হয়ে থাকে। এ বিদ্যালয়ের ভিতর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার থাকায় এখানে সব সময়ই থাকে শিক্ষকদের পদচারণা। সরোজমিন গেলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুুর রহমান টিপু বলেন, সরকারি ভাবে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ভবনটি এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকি মাথায় নিয়েই শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নতুন ভবন চেয়ে কমিটির পক্ষ থেকে বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে একটি ভবন বরাদ্ধ পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, নতুন ভবন চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানোর পরেও এখন পর্যন্ত কোন ভবন বরাদ্ধ পাইনি। প্রায় ২৮০জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে ৩কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি ভবনে অনেক কষ্ট করে ক্লাশ পরিচালনা করতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন’র সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, ভবন বরাদ্ধ পাওয়ার বিষয়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোন সুফল পাইনি। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমাদুল ইসলাম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে আমরা তালিকা পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট শিঘ্রই প্রেরণের ব্যবস্থা করব। উপজেলা প্রথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শফিকুর রহমান ডাব্লু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত গুনগত- মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে অত্র বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন বরাদ্ধ পাওয়া একান্ত জরুরী। জানা যায়, শতবর্ষ পার হওয়া এ বিদ্যালয়ের অনুকূলে রেকর্ডীয় .৫৪শতাংশ জমি থাকলেও উক্ত সম্পত্তির কিছু অংশে প্রভাবশালী মহল স্থাপনা গড়ে ভোগ দখলে রেখেছে । যাহা উচ্ছেদ কল্পে ২০১০ সনের ১লা সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সচেতন মহলের ধারণা অতিশীঘ্র সরকারি ভাবে বিদ্যালয়ের ভূমি পরিমাপ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা না হলে আরও ভূমি বেদখল হওয়ার আশংকা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন