ঢাকা ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাত কাউন্সিলরের আইনি নোটিসের জবাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। নোটিসের জবাবে কাউন্সিলরদের আনা ৬টি অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি নোটিসদাতা কাউন্সিলররা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বর্তমান পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলররা যেসব অভিযোগ তুলে আইনি নোটিস দিয়েছিলেন, সেসব অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য জগদীশ চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে নোটিস প্রদানকারী কাউন্সিলরদের নিযুক্ত আইনজীবী মো. আজাদ রহমানের কাছে গত রোববার ডাকযোগে জবাব পাঠান। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
নোটিসের জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা সরকার কর্তৃক ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারিত থাকায় সব কাউন্সিলরকে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যেসব কাউন্সিলর যাতায়াত ও যোগাযোগ বাবদ ভাউচার জমা দিয়েছেন, তাঁদের ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নোটিস পাঠানো কাউন্সিলররা কোনো ভাউচার জমা না দেওয়ায় তাঁদের ৬ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়নি। কাউন্সিলরদের নগর ভবনে যাওয়া নিষিদ্ধ বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উসকানিমূলক।
সিটি কর্পোশেনের নিয়মিত কর্মচারীদের বরখাস্ত করার অভিযোগের জবাবে বলা হয়েছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনিক শাখায় নিয়োজিত করা হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন) ২০০৯ অনুযায়ী এবং সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানে।
নোটিসের আরেকটি অভিযোগের জবাবে বলা হয়েছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের হাটবাজার বিধি অনুযায়ী জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
নোটিসের জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে সাত কাউন্সিলর মেয়রসহ তিনজনকে নোটিস পাঠিয়েছেন, তাঁরা ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর পরিষদের ১৬তম মাসিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় তাঁরা এমন কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেননি। মেয়রকে হেয়প্রতিপন্ন করতে আইনি নোটিসে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য তুলে ধরেছেন।
২ জানুয়ারি আইনি নোটিশ দেন সাত কাউন্সিলর। ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। নোটিস দেওয়া সাতজন হলেন সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ আহম্মদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমির হোসেন বিশ্বাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফ মো. আনিছুর রহমান (আনিছ শরীফ) ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক।
সাত কাউন্সিলর হঠাৎ মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ তিনজনকে আইনি নোটিস পাঠানোর ঘটনাটি নগরে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।
তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাত কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগের সমর্থক। গত বছরের আগস্টে মেয়রের সঙ্গে প্রশাসনের দ্বন্দ্বের সময় এই সাতজনসহ আট কাউন্সিলর বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের পক্ষে অবস্থান নেন।’
প্রকাশকঃ ডাক্তার জি.কে চক্রবর্তী।
সম্পাদকঃ কাজী মফিজুল ইসলাম।
প্রধান সম্পাদকঃ নুসরাত রসিদ।
নির্বাহী সম্পাদকঃ জাকিরুল মোমিন।
মোবাইলঃ 01711225620
মেইলঃ protidin.barisal@gmail.com
ঠিকানাঃ প্যারারা রোড, বরিশাল ৮২০০।
Design and developed by Engieer BD Network